Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেছারাবাদে বিদ্যুৎবিহীন ১১ ঘন্টা অন্ধকারে ১৩৪ টি গ্রাম

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ১১:১৩ এএম

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় কোন কারন ছাড়াই ১১ ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল উপজেলার ১৩৪ টি গ্রাম। তবে বিদ্যুৎ অফিস বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন পাশ্ববর্তী কাউখালি উপজেলা থেকে লাইনে ফল্ট থাকার কারনে বিড়ম্বনা হয়েছে। ২৭ এপ্রিল(বুধবার) রাত ৯ টা থেকে ২৮ এপ্রিল(বৃহস্পতিবার) সকাল ৭.৩০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ ছিল। পরে সকাল ৭.৩৫ মিনিট থেকে উপজেলায় পর্যায়ক্রমে লাইন চালু হয়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে ছিল রোজাদার মুসল্লিসহ বিশেষকরে বাসাবাড়ীর শিশু ও বৃদ্ধরা। ওষ্ঠাগত গরমে তাদের জীবন বিষন্ন হয়ে উঠছিল। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ অভাবে দীর্ঘ ১১ ঘন্টা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে উপজেলার প্রায় ৬৯ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।

জানাগেছে উপজেলায় গত জুন পর্যন্ত মোট গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯১১ জন। এরমধ্য আবাসিক ৫৮ হাজার ৫৩৪, বানিজ্যিক ৫ হাজার ৩৪০, দাতব্য ১১২০, শিল্প ৫৫৫, সড়ক ৫০, বড় মিল ফ্যাক্টরি ৯ এবং অন্যান্য ৩ জন।

বিদ্যুৎ অফিস বলছে কোন লোডশেডিং ছিলনা। ওটা একটা দুর্ঘটনার মত। তারা বলছেন, উপজেলার বিদ্যুৎ লাইন ভান্ডারিয়া হয়ে পাশ্ববর্তী কাউখালি উপজেলার বন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে অত্র উপজেলায় বিদ্যুৎ লাইন আসছে। কাউখালি থেকে লাইনে ফল্ট হয়ে রাত ৯টা থেকে বিদ্যুৎ ছিলনা। তবে লাইন স্বাভাবিক আনতে উপজেলার জোনাল অফিসের ডিজিএম সহ অফিসের কর্মীরা রাতভর কাজ করেছে। পরে সকালে লাইনের ফল্ট নির্ধারন করে সাথে সাথে লাইন চালু হয়েছে।

নেছারাবাদ উপজেলার পূর্বপাড় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র মো: হুমাউন কবির বলেন, পাশ্ববর্তী কাউখালি উপজেলা থেকে লাইন ফল্ট হওয়ায় সারারাত উপজেলায় বিদ্যুৎ ছিলনা। সমস্যা চিহ্ণিত করে লাইনগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হয়েছে।

অধিকাংশ গ্রাহকদের অভিযোগ, নেছারাবাদে হালকা জড়ো বাতাস হলেই বিদ্যুৎ উদাও হয়ে যায়। সাথে প্রায়ই সময় কোন প্রকার কারন ছাড়াই বিদ্যুৎ চলে গেলে চা থেকে পাচ ঘন্টায়ও বিদ্যুৎ আসেনা। জড় বাতাস হলে তো কথাই নেই। তখন বিদ্যুৎ গেলে আসার কোন কথাই থাকেনা। অফিসে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, চিরাচরিত গদ বাধা কথা। "ভান্ডারিয়া থেকে লাইনে গাছ পড়ে তার ছিড়ে গেছে। আসতে সময় লাগবে। অফিসের লোক কাজ করছে"।

এদিকে উপজেলায় কোন কারন ছাড়াই দীর্ঘ ১১ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন থাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে ছিল রোজাদার মুসল্লিরা। একইসাথে অনেক সমস্যায় পড়েছিল উপজেলার ব্যবসায়িরা। উপজেলায় তীব্র গরমে ত্রাহি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বাসাবাড়ীর শিশু ও বৃদ্ধরা। অনেকে অতিরিক্ত গরমে ঘুমাতে না পেরে রাত জেগে রাস্তায়,পুকুর পাড়ে ঘোড়াঘুড়ি করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

নেছারাবাদ উপজেলার কৌড়িখাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডি,জি,এম ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, উপজেলায় গেল জুন পর্যন্ত মোট গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯১১ জন। চলতি মাস পর্যন্ত তা প্রায় ৬৯ হাজারের কাছাকাছি। দীর্ঘ ১১ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, অত্র উপজেলার বিদ্যুৎ লাইন এসেছে কাউখালি উপজেলার বন জঙ্গলের ভিতর থেকে। সেই লাইনের উপর সুপারির খোল পড়ে দুইটি লাইন মিশে ফল্ট হয়ে গিয়েছিল। যাহা রাতে অনেক খোজাখুজি করেও সমস্যা চিহ্নত করতে পারিনি। অব্যাহত কাজ করার পর সকালে সমস্য চিহ্নত করে লাইন চালু করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোন লোডশেডিং ছিলনা।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ