Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গফরগাঁওয়ে শেষ মর্হুতে ঈদের বাজার জমে উঠেছে

গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২২, ৭:৩৫ পিএম

ঈদের আর কয়েকদিন দিন বাকী থাকলে ও গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ ১৫টি ইউনিয়নে কাপড়রের দোকানসহ হরেক রকমের দোকানে গুলোতে শেষ মর্হুতে বেচা কেনা ধুম পড়েছে। প্রতিটি দোকানে দোকানে নারী-পুরষ ও শিশুকিশোরদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। প্রতিটি শাড়ী কাপড়সহ বিভিন্ন দোকানে ঈদ কে কেন্দ্র করে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এবারের মেয়েদের হরেক রকমের নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় বিক্রি হচ্ছে । বিশেষ করে সাড়া জাগানো ভারতের বিভিন্ন সিনেমার নায়ক/নায়িকাদের নামে ডিজাইনের কাপড় শোভা পাচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন নাটকের চরিত্রের নায়ক-নায়িকাদের নামে ছেলে- মেয়েদের পোষাকে ভরপুরে হয়ে উঠেছে। নতুন নতুন নাম করনের ফলে কাপড় মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সারারা,গাগড়ী ও কাঁচাবাদাম সহ বিভিন্ন ধরনের নামের পোষাক। ফলে এগুলো নিম্ম শ্রেণীর পরিবারদের মধ্যে তাদের সাধ্য অনুযায়ী কাপড় কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। জুতার দোকানে ও বিক্রি কমতি নেই। নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের জুতা দোকানে শোভা পেয়েছে। কাপড় ও জুতার দাম বহু গুনে বৃদ্ধি ফলে নিন্ম শ্রেণীর ক্রেতারা কিনতে সাহস পাচ্ছে না।

গফরগাঁও কলেজ রোডের সরকার ম্যানসন মার্কেটের ঐতিহ্যবাহী স্বপন শাড়ীকালয় দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে, ঈদুল ফিতরের মধ্যে বেচা কিনা বেশী হয়ে থাকে। আনন্দ উৎসবের মেতে উঠে সারা দুনিয়ার মুসলমান সম্প্রদায় । ধনী গরিবের মধ্যে কোন ধরনের মধ্যে কোন ধরনের ভেদাভেদ থাকে না। এছাড়া বারী প্লাজা, বেলাল মার্কেট (আলাল মার্কেট), সরকার ম্যানসন, মর্জিয়া মার্কেট, হেকিম টাওয়ার, মুক্তা মার্কেট ও গোলন্দাজ মার্কেট, সোরহাব মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়।

গফরগাঁও কলেজ রোডের আলাল মার্কেটে আসা ক্রেতা মোঃ ফয়জুল্লাহ জানান, গত দু,বছর সর্বনাশা মহামারি করোনার কারনে রোজা ঈদের বাজার জমেনি। সকলস্তরের জনতা সর্বনাশা মরামারি করোনার কারণে ঘর হতে বের হওয়ার সাহস করেনি । ফলে হরেক রকমের ব্যবসায়ীদের চরম ভাবে লক্ষ লক্ষ টাকায় লোকসান দিয়ে মালামাল বিক্রি করতে হয়েছে । অনেকেই আবার এখনো আর্র্থিক ভাবে অভাব অনটনে রয়েছে । ফলে এবার আল্লাহর রহমতে সর্বনাশা মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় ফলে সকল ধরনের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে । সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন দোকানে উপড়ে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে । এতে করে সকল সড়কে বিভিন্ন ধরনের গাড়ীর যানজট বেড়ে গেছে । তবে ঈদের চাঁন রাত পর্যন্ত যানজটের ফলে বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশ দেয়া হলে জনসাধারণে উপকার হতো । গত কয়েকদিন ধরে গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ ১৫টি ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট-বাজার গুলোতে টেইলার্সের দোকান গুলোর শ্রমিক ও টেইর্লাস মাষ্টার ঘুম বাদ দিয়ে নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় বানানোর ধুম পড়েছে ।

গফরগাঁও মধ্য বাজারের সোনালী ব্যাংকের নীচের গোলন্দাজ মার্কেটের কাপড়ের দোকান মের্সাস বিন্দু ফ্যাশনের মালিক শ্রী সুদেব জানান, গত দু বছরের তুলনা এবারে কাপড় বেশী বিক্রি হচ্ছে। সকলেই উন্নত মানের কাপড় ক্রয় করছে । গ্রাম-এলাকার জনসাধারনের মধ্যে দিন দিনে রুচি বোধ বৃদ্ধি পাচ্ছে । কালের-বির্বতনে আধুনিকতার ছোয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে । দেশীয় বাজারে আর্ন্তজাতিক ডিজাইনের কাপড় তৈরী করা হচ্ছে । এখনকার সময়ে মান্দাতার আমলের ডিজাইন বদলে গেছে । পুরাতনের বদলে প্রতিটি মর্হুতে হরেক রকমের ডিজাইন শোভা পাচ্ছে ।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে কাপড় দোকান ছাড়া মনিহারী দোকান গুলোতে বেচা কেনা পিছিয়ে নেই । গফরগাঁও রেলষ্টেশন বুধিয়া মার্কেটের (শাহ মিসকিন রোড) বিশিষ্ট মনোহারীর দোকান মেসার্স মামুন ষ্টোরের মালিক মোঃ মামুন জানান , এ বারের মাহে রমজানের শুরুতেই ডাল, ছোলা, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দাম বেড়ে যাওয়ার পরেও আমরা সরকার নির্ধারিত মুল্যে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে যাচ্ছি। এতে করে জনসাধারনের জন্য ভালো হয়েছে । রাজধানীসহ জেলা , উপজেলা ও ইউনিয়ন বাজার গুলোতে সরকারের তদারকির ফলে কোন কিছুর দাম বাড়েনি । গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবিদুর রহমানের সার্বিক মনিটরিংয়ের কারণে বাজার সর্ম্পনু ভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ