বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের একমাত্র জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই হাইড্রোলিক পাওয়ার স্টেশনে বিদ্যুৎ উৎপাদে ধ্বস নেমেছে। দু'টি ইউনিটে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৫৬ মেগাওয়াট। হ্রদে পানির সংকটের ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধ্বস নেমেছে। অনাবৃষ্টি এবং প্রচন্ড তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে এ সংকট দেখা দিয়েছে । পানি কমে যাওয়ায় ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া পানির ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া হ্রদের সাথে সংশ্লিষ্ট ৬টি উপজেলার সাথে নৌপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে মানুষের দুর্ভোগ আরোও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৫টি ইউনিটে দৈনিক ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হত। পূর্নবাসনের জন্য একটি ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে।খড়া মৌসুমে পানি সংকটের ফলে ২ ও ৪নং ইউনিট বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার (২৭ এপ্রিল) কন্টল রুম হতে জানাযায়, এ মৌসুমে হ্রদে পানি থাকার কথা ৮২.৮০ফিট এমএসএল(মীন সি লেভেল)। কিন্ত বর্তমানে তা কমে পানি আছে ৭৬.৯৪ফিট এমএসএল।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার এটিএম আবদুজ্জাহের জানান, হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। পানির অভাবে কেন্দ্রের সব ক'টি ইউনিট সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ম পর্যায়ে ঠেকেছে। তিনি জানান, কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে ৩ নম্বর ও ৫ নং ইউনিট চালু রয়েছে। বুধবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৩ নং ইউনিট হতে ২৯ মেগাওয়াট এবং ৫ নং ইউনিট হতে ৩০ মেগাওয়াটসহ সর্বমোট ৫৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচুর বৃষ্টিপাত না হলে এ সংকট হতে উত্তরণ সম্ভব নয় বলে জানান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।