বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা মহামারী সংকটে দু বছর পরে দক্ষিনাঞ্চলের জনজীবনে ঈদ উল ফিতর কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলাতে এবারো আনন্দে যথেষ্ঠ ভাটা চলছে। বিগত দুটি বছর এসব পরিবারের বেশীরভাগই পুজি খুইয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে করোনা মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হলেও তা দেশ ছেড়ে যায়নি এখনো। নিকট প্রতিবেশী দেশেও প্রাণঘাতি এ মহামারী আবার কিছুটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার মুখে খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রী সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেও তা আমলে নিচ্ছেন না কেউ। এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও করোনা সম্পর্কে সচেতন থাকতে কোন ধরনের প্রচারনা নেই।
তবে এর পরেও বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে এখন ঈদ কেন্দ্রীক ব্যাবসা বানিজ্যে কিছুটা প্রাণ ফিরে এসেছে। যদিও করোনা মহামারীর দাপটে বিগত দুটি বছরের মত এবারো দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চৈত্রের হিসেব নিকেশ সহ হালখাতা খোলেনি। ব্যাবসায়ীদের লক্ষ্য ছিল ঈদ উল ফিতরে একটু ভাল বেচাকেনার আশায় ক্রেতাদের দোকান মুখি করা। সে ক্ষেত্রে ব্যাবসায়ীদের সফলতাও এবার খুব বেশী নয়। সিমিত সাধ্যের মধ্যেও পুরনো হিসেব নিকেশ বাদ দিয়ে পরিবার পরিজনের মুখে একটু হাসি ফোটাতে অনেকেই ঈদের বাজার মুখি।
তবে বিগত দু বছরের করোনা সংকটে যে আর্থিক সীমাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে, তার রেশ পড়েছে ঈদের বাজারেও। করোনা মহামারী দক্ষিণাঞ্চলের নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটিয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা যথেষ্ঠ দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই সাধ থাকলেও এবারের ঈদের আনন্দ উপভোগ সবার জন্যই ততটা যে সম্ভব হচ্ছে না তা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি করোনা সংকটের অর্থনৈতিক বিপর্যয়কে নিত্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধমুখি প্রবনতা এ অঞ্চলের নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে আরো সংকটে ফেলেছে।
তবে এরপরেও এক মাসের সিয়াম সাধনার পরে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও ঈদ ফিরে এসেছে। কিছুটা প্রাণ ফিরেছে তৈরী পোষাক থেকে শুরু করে শাড়ি, প্রশাধন সামগ্রী, মুদি মনোহরি দোকানপাটেও। তবে সব ব্যাবসায়ীদের বক্তব্য একটাই, ‘দু বছরের করোনা সংকট কাটিয়ে যেভাবে বেচাকেনা হবার কথা, তার কাছেও নেই এবারের ঈদ বাজার’। তার পরেও আগামী যে কটি দিন হাত আছে, এসময়টিকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখছেন ব্যবসায়ীরা।
বরিশালের সদর রোড, চক বাজার, কাটপট্টি, হেমায়েত উদ্দিন রোড, ফজলুল হক এভেনিউ থেকে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক বছরে গড়ে ওঠা তৈরী পোশাকের ব্রান্ড সপগুলো বিশাল পসরা নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায়। রেডিমেট গার্মেন্টস-এর ব্রান্ড সপগুলো সহ অন্য তৈরী পোষাকের দোকানেও বিগত দুটি বছরের আগের মত করেই হাল ফ্যাশনের জামাকাপড় শোভা পেলেও দাম দু বছর আগের অন্তত দেড়গুন বেশী। মেয়েদের সব ধরনের থ্রী পীসের সমাগম হলেও সেখানেও মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব ক্রেতাদের যথেষ্ঠ হতাশ করছে। শাড়ি আর প্রশাধনিতেও একই অবস্থা।
তবে এসব কিছুকে ছাপিয়ে চাল সহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নি¤œ-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সমাজকে যথেষ্ঠ বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। নিত্যপণ্যের এ মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব এবার দক্ষিণাঞ্চলের ঈদের বাজারেও। তবে এর পরেও বিগত দু বছরের হতাশার ঈদ বাজারের অভিজ্ঞতকে ভুলে এবার একটু ভাল ব্যাবসার আশা নিয়ে সময় গুনছেন বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের ব্যাবসায়ীগন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।