রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজারের নলজোরা খালের ওপর কেন্দুয়া ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে ধীর গতিতে। পুরনো ব্রিজ ভেঙে শুরু হয়েছে নতুন ব্রিজ নির্মাণ। পাশের বাইপাস না থাকায় যানবাহন বাহন চলতে পারেনা। পায়ে হেঁটে চলাই এখন কষ্ট সাধ্য। নড়বরেভাবে তৈরি করা হয়েছে কাঠের সেতু। নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশে বাইপাস না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে লাখো মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার নদীবন্দর খ্যাত বরমী বাজারের প্রধান সংযোগ সড়কে নলজোর খালের ওপর কেন্দুয়া ব্রিজের অবস্থান। এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন শতশত ট্রাক, পিকআপ, অটোরিকশা, সিএনজিসহ পন্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। বরমী বাজার খেয়া ঘাটদিয়ে পার্শবর্তী ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও, পাগলা থানা এবং কাপাসিয়া উপজেলার উত্তর অংশের লাখো মানুষ যাতায়ত করেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সাপ্তাহিক হাট বুধবারে বাজার করা ছাড়াও প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে বরমী আসা যাওয়া করে। ইদুল ফিতরকে সামনে রেখে চলাচল বেড়ে গেছে বহুগুন। আসন্ন ঈদে ঘর মুখো মানুষ পড়বে চরম বিরম্বনায়।
বহু বছরের পুরনো জড়াজীর্ণ কেন্দুয়া ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি দেখা যায়। এখন কাজের ধীর গতি আর যথাযথ বাইপাস না থাকায় জনঅস্বস্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। জনগনের ভোগান্তি দেখে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে শীতলক্ষ্যার পার কেটে একটি বাইপাস নির্মাণ করা হয়েছে। যা দিয়ে সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করলেও যানবাহন চলার কোন উপায় নেই। ভুল করে কেও যানবাহন নিয়ে এ পথে চলে এলে তাকে ১০কি.মি পথ ঘুড়ে বাজারে প্রবেশ করতে হয়।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ব্রিজ নির্মাণের জন্য সাময়ীক ভোগান্তিতে পরে জনগন। মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে পরিষদের অর্থায়নে নদীর পার কেটে একটি বাইপাস সড়ক করে দেয়া হয়েছে। নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বর্ষায় সড়কটি তলিয়ে গেলে জনভোগান্তি আরো বাড়বে।
ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোশফিকুর রহমান কাঞ্চন এন্টারপ্রাইজের সত্বাধীকারী মোশফিকুর রহমান কাঞ্চন বলেন, বাইপাস সড়কের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ভাল বলতে পারবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী এ. জেড. এম রকিবুল আহসান জানান, গত ২৭ অক্টোবর’২১ তারিখে কার্যাদেশ পেয়ে ব্রিজের কাজ শুরু করেন মেসার্স মোশফিকুর রহমান কাঞ্চন এন্টারপ্রাইজ। ২৭মিটার দীর্ঘ ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ব্রিজের পাশে বাইপাস নির্মাণের মতো জায়গা না থাকায় সিডিউলে বাঁশের সাঁকো ধরা হয়েছে। রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি আর জায়গার সমস্যা থাকার কারণে কাজ কিছু বিলম্বিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান ওই প্রকৌশলী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।