বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম,পি বলেছেন, দেশপ্রেম শুধু আওয়ামীলীগের মধ্যেই আছে। এই দেশপ্রেম আমরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের মধ্যদিয়ে পাই। যারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে খাটো করতে চেয়েছিল তারা আজকে কথায়। জিয়াউর রহমান বেলেছিলেন, রাজনীতিবীদদের জন্য রাজনীতি আমি কঠোর করে দিব। রাজনীতি করা সংকির্ণ করে দিব এবং তিনি সেই কাজটিই করেছিলেন। তিনি রাজনীতির মধ্যে খাবার স্যালাইন তৈরী করেছিলেন। কিছু রাজাকার, কিছু মুক্তিযোদ্ধা, কিছু রাজনীতিবীদ কে নিয়ে তিনি একটি সংগঠন করেছিলেন নাম দিয়েছিলেন প্রথমে জাগোদল,পরে জাগদল এবং শেষে বিএনপি। ভাসানী পন্থী কাজী জাফর এবং মশিউর রহমান যাদুরা এসে মজলুম জননেতা মৌলানা আব্দুল খাঁন ভাসানীর ধানের শীষ প্রতীকটা জিয়াউর রহমানকে দিয়েছিলেন। এই ছিল জিয়াউর রহমানের মিকচার পলিটিস। পরবর্ত্তীদে এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুঁনিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া সেই খুঁনিদের মধ্যে রশিদকে মহান জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছেন। এই ভাবে রাজনীতিকে কঠিন করে দেয়া হয়েছিল। রাজনীতি যখন কঠিন হয়ে যায়। তখন মানুষের জীবন কঠিন হয়ে যায়। রাজনীতি সহজ হলে মানুষের জীবন সহজ হয়। আজকে রাজনীতি সহজ সরল এবং পানিরমত স্বচ্ছ। বলতে দ্বিধা নাই, এ দেশের মানুষের অধিকার নিয়ে আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কেউ কাজ করেনি । শুধু এই বাংলাকে শাষণ শষণ ও লুট করেছে। বাংলাদেশের যে অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অর্জন মুক্তিযুদ্ধের যে সংস্কৃতি। যে লড়াই করে বেঁচে থাকা, মুক্তিযুদ্ধের যে স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন কে ধুলিসাৎ করার জন্য, সেই স্বপ্ন বাস্তাবায়ন না হয় বাংলাদেশ যেন একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। দেশ বিদেশের বড় বড় বিষেশজ্ঞরা বলেছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে পারবেনা। আর সেই কাজটিই করেছিলেন জিয়া-এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা। মঙ্গলবার সকালে বিরল উপজেলা পরিষদের হলরুমে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসাবে গৃহহীনদের গৃহ ও জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা এটা আমাদের বিরল অর্জন। আমরা নাগরিক হিসাবে গর্বিত, প্রায় ৩৩ হাজার পরিবারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপহার হিসাবে এইসব নতুন ঘর দিচ্ছেন। এটা প্রধান মন্ত্রীর সাহসিকতা। এ চিন্তা ছিল বঙ্গবন্ধুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সলে আবাসন এবং আশ্রয়ন প্রকল্প গ্রহন করেন। শেখ হাসিনার লক্ষ এবং বিশাল অর্জন বাংলার কোন মানুষ গৃহহীন থাকবেনা। এসময় বক্তব্য রাখেন, দিনাজপুর জেলার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুজন সরকার, বিরল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছার, বিরল পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় ও থানার অফিসার ইনচার্জ ফখরুল ইসলাম। পরে প্রধান অতিথি ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধান উপহার (বাই সাইকেল)সহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।