Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহাদুর্ভোগের আশঙ্কা

ঈদে বাড়তি চাপ, রয়েছে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি

কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০২ এএম

ঈদ-উল ফিতরের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে মানুষের বাড়ি ফেরা নিয়ে ততই শঙ্কা বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় গত বছরের তুলনায় বেশি মানুষ রাজধানীর বাইরে যাবে সেটা আগেই অনুমেয়। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে যাওয়া মানুষের ঢলে যাত্রাপথে নামতে পারে মহাবিপর্যয়। তবে দুর্ভোগ এড়াতে অনেকেই পরিবারকে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন ও সদরঘাটে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তবুও সড়কপথে বড় ধরনের দুর্ভোগের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ এবার নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। তাদের বেশিরভাগেরই গন্তব্য সড়কপথে।
এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপের কারণে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ঈদযাত্রায় বাড়তি নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সতর্কতা, যানজট ও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে গণপরিবহনে সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা না গেলে এবারের ঈদযাত্রায় নারকীয় পরিস্থিতি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সরকার আশ্বস্ত করেছে ঈদ যাত্রায় কোন ভোগান্তি হবে না। ঈদের যাত্রাপথ যেন সচল থাকে এবং কোন ধরনের ভোগান্তি না হয় দফায় দফায় বৈঠক করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ঈদ যাত্রায় সড়কে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সব দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সড়কে যেসব প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে, সেগুলোর কাজ দ্রæত শেষ করে ঈদের আগে খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর যেসব প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে না, সেগুলোর কাজ ঈদ যাত্রার সময় বন্ধ রাখা হবে।
ঈদ যাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনার খবরও নিত্যনৈমিত্তিক। এবার ঈদ যাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে হাইওয়ে পুলিশ ও বাস মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। ঈদকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে কন্ট্রোলরুম চালু করবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটি)। টার্মিনালগুলোয় নামানো হবে মোবাইল কোর্টসহ ভিজিল্যান্স টিম। এদিকে ঈদ ও বর্ষা সামনে রেখে সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও মহাসড়কগুলো দ্রæত মেরামত করে যান চলাচলের জন্য সচল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দ্রæত সময়ের মধ্যে সড়কগুলোকে যতœসহকারে মেরামতের সঙ্গে যানজট রোধে কঠোর মনিটরিংয়ের ওপর জোর দেন তিনি। সড়ক ও জনপদ অধিদফতর ঈদে সড়কে যেন নির্বিঘœ যানবাহন চলাচলে গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেও এখনও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশেও সংস্কারকাজ চলছে। এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নির্মাণ কাজ না চললেও যানবাহনের অবৈধ স্ট্যান্ড দুর্ভোগের কারণ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের সড়কপথে বাড়ি যেতে নবীনগর পার হতেই যানজটে ভুগতে হয়। চন্দ্রা-টাঙ্গাইল হয়ে মহাসড়কটিতে সবচেয়ে বেশি গাড়ির চাপ পড়ে বঙ্গবন্ধু সেতুতে। সেতুটি দুই লেনের হওয়ায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপে প্রায় সময়ই যানজট লেগেই থাকে। ঈদে তা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেতু পার হয়ে নলকা ব্রিজ পর্যন্ত ফোর লেনের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। নলকা ব্রিজের কাজের কারণে দুই পাশেই শতশত গাড়ির চাপ থাকে। আগামীতে নলকা ব্রিজ ও বঙ্গবন্ধু সেতুকেন্দ্রিক বড় ধরনের জ্যামের আশঙ্কা রয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন ১২ থেকে ১৩ হাজার যানবাহন সেতু পার হয়। ঈদযাত্রায় তা ৩০ থেকে ৩২ হাজারে উন্নীত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড ও মদনপুর চৌরস্তায় এলাকায় প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকা থেকে সাইনবোর্ড ও এশিয়ান হাইওয়ে (ঢাকা-বাইপাস) সড়কের মদনপুর চৌরাস্তায় সকাল ও সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের সময় এখানে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় ট্রাফিক পুলিশকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে চাষাঢ়া-সাইনবোর্ড সড়কে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে যাতায়াতের সুযোগ করে দিতে হয়। এছাড়া মহাসড়কের মদনপুর চৌরাস্তায় ৮টি অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এসব অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে প্রতিনিয়ত যানজটের কবলে পড়ছে মহাসড়ক। স্থানীয়রা জানায়, মদনপুর চৌরাস্তা এলাকার ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা, বেবীট্যাক্সি ও সিএনজি চলাচল করে থাকে। সকাল থেকে গভীর রাত অব এলোপাথারীভাবে মদনপুর চৌরাস্তায় প্রায় শতাধিক মিনি যানবাহন রাখার ফলে প্রতিনিয়ত যানজটের কবলে পড়ছে মানুষ। মহাসড়কে দীর্ঘক্ষণ যানজট লেগে থাকে। হাইওয়ে পুলিশ আছে। কিন্তু তাদের কার্যকর ভ‚মিকা খুবই দুর্বল।
গতকাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিল্প কারখানার গাড়িতেই দখল হয়ে যাচ্ছে সড়কের একাংশ। এই মহাসড়কে বাস-ট্রাক-লরি-কাভার্ড ভ্যানের ঠায় দাঁড়িয়ে থাকাই যেন এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের চার লেন সড়কের দু’পাশের বেশিরভাগ অংশই দখল করে নিয়েছে বিভিন্ন কারখানার কন্টেইনার মুভার, লরি, কাভার্ড ভ্যান ও পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়া মহাসড়কেই চলে পণ্য ও কাঁচামাল লোড-আনলোডের কাজ। এতে চার লেন বাস্তবায়িত হলেও তার সুফল পাচ্ছেন না যাত্রীরা।
যাত্রী ও চালকদের অভিযোগ, শিল্প কারখানাগুলোর পণ্য ও কাঁচামাল পরিবহনকারী গাড়ির পার্কিংয়ে দখল হয়ে থাকে সড়কের একপাশ। শুধু তাই নয়, কারখানাগুলোর কাঁচামাল ও পণ্য লোড-আনলোডের কাজও অনেক সময় চলে সড়কের ওপরেই। নিয়ম না থাকলেও থানা ও হাইওয়ে পুলিশকে টাকা দিয়ে ‘ম্যানেজ’ করে এভাবে পার্কিং ও লোড-আনলোডের কাজ কারখানাগুলো চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত ২০ এবং দাউদকান্দির ১০ কিলোমিটারসহ ৩০ কিলোমিটার নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। এ মহাসড়কে প্রত্যেক বছর ঈদ এলে প্রশাসন ঘোষণা দেয় যানজট নিরসনের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্ভোগ থেকে নিস্তার পান না যাত্রীরা। যানজটের জন্য ট্রাফিক আইন অমান্য করে যত্রতত্র যাত্রী তোলা, ফুটপাত দখল করে দোকান, পুলিশের চাঁদাবাজি, অবৈধ স্ট্যান্ড, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার চলাচলে দূরপাল্লার গাড়ির গতি কমে যাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। চালকরা বলছেন, অবৈধ স্ট্যান্ড, ফুটপাত দখল করে দোকান নির্মাণ, ট্রাফিক সিগন্যালের কারণে যানজট হয়। নিষিদ্ধ তিন চাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং রিকশার কারণেও পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। সোনারগাঁয়ের মেঘনা ও কাঁচপুর শিল্পাঞ্চলসহ চারটি ইকোনমিক জোনের শত শত পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ না হলে ঈদে ভয়াবহ যানজট হতে পারে। কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিরসনে ঈদের তিন দিন আগে থেকে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। শুধুমাত্র জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করবে। তবে হাইওয়ে পুলিশের এ উদ্যোগ শুধু কথাতেই, বাস্তবায়ন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দূরপাল্লার একটি পরিবহনের বাসচালক মমতাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘোষণা দিলেও নিজেরাই টাকা নিয়ে এসব ট্রাক চলাচলের সুযোগ দেবে। ফলে যানজট পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না।
এশিয়া লাইন পরিবহনের চালক মনিরুল ইসলাম জানান, সাইনবোর্ড এলাকায় নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রবেশ ও শহর থেকে বের হওয়ার জন্য যানবাহনকে প্রতি ১০ মিনিট পরপর ট্রাফিক সিগন্যালে পড়তে হয়। ফলে স্বাভাবিক সময়ে যানবাহনের ধীরগতি থাকে। ঈদে কয়েকগুণ গাড়ি বাড়লে অবস্থা আরও খারাপ হবে। কাঁচপুর এলাকায় মহাসড়ক ঘেঁষে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের জব্দকৃত যানবাহন ডাম্পিং রয়েছে। লোকাল বাস নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড না মেনে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করে। সঙ্গে মেঘনা সেতুর টোল প্লাজায় বাড়তি চাপে টোল আদায় বিলম্বের কারণেও ঈদে পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সাজ্জাদ করিম খাঁন জানান, ঈদে যানবাহন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কেউই নিয়ম মানে না। ফলে যানজট দেখা দেয়। তবে তারা মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে চেষ্টা করছেন বলে জানান। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন জানান, সাইনবোর্ড এলাকার যানজট নিরসনে তারা সানারপাড় এলাকায় একটি ইউলুপ নির্মাণ করছেন। নারায়ণগঞ্জগামী সব পরিবহনকে এ ইউলুপ ঘুরে আসতে হবে। এটি চালু করা গেলে যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
এদিকে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির দশ কিলোমিটার অংশে এবারও যানজটে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা। তারা বলছেন, সংস্কারকাজ চলায় মহাসড়কের দাউদকান্দির শহিদনগর এলাকা এবং ঘাট থেকে বালুবাহী ট্রাক বলদাখাল মোড়ে ইউটার্ন নিতে গিয়ে যানজটের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। সঙ্গে গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা, ফিটনেসবিহীন লোকাল মাইক্রোবাস ও অনুমোদনহীন ট্রাক্টর মহাসড়কে চলাচল করায় যানজট পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, যানজট এড়াতে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে সংস্কারকাজ বন্ধ রেখে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করবেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের বারপাড়া ব্র্যাক অফিস থেকে শহিদনগর পার হয়ে হাসানপুর পর্যন্ত সংস্কারকাজ চলছে। এতে ঢাকামুখী লেন বন্ধ। দুই লেনে গাড়ি চলতে গিয়ে যানজট হচ্ছে। মেঘনা-গোমতী সেতুর পূর্বপাশে বালু-পাথরের আড়ত। প্রতিদিন এখানে কয়েকশ ট্রাক বালি ও পাথর নিতে এসে বলদাখালের ইউটার্নে চাপ বাড়াচ্ছে। মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের ইনচার্জ মো. ইউনুস আলী শিকদার জানান, প্রতিদিন নয়টি কাউন্টারে ২০/২২ হাজার যানবাহনের টোল আদায় করা হয়। ঈদে যানবাহন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আবার চালকরা টোল পরিশোধের নিয়ম না মানায় দেরি হয়। এতে যানজট দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে এবারও চিন্তিত বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা জোনের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে যানজটের আশঙ্কা আপাতত করছি না। বলদাখাল এলাকার বালুবাহী ট্রাকগুলো বন্ধ করে দিতে পারলে নিশ্চিতে থাকতে পারতাম। এরপরও বলদাখাল, গৌরীপুরসহ যানজট প্রবণ এলাকায় কার্যক্রম জোরদার করা হবে। এছাড়া এই মহাসড়কের সীতাকুÐ অংশে আটটি পয়েন্টে ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে উপজেলার বড় দারোগার হাটের ওজন স্কেলের কারণে যানজট হচ্ছে, ঈদে তা আরও বাড়বে। সীতাকুন্ড পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ডে সড়কে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা এবং কুমিল্লা থেকে ভাটিয়ারী পর্যন্ত বড় বড় কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কনটেইনার ডিপোর মালামাল বহনকারী গাড়ির জন্যও যানজট পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কুমিল্লা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আবদুল্লাহ জানান, যানজট যাতে না হয়, সেজন্য তারা সব ধরনের চেষ্টা করছেন।
যানজটের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান বলেন, সড়কে যানজট নতুন কিছু নয়। ঈদ যাত্রায় গাড়ির চাপের কারণে যানজট বাড়ে। তবে এবার ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগের দুই লেনের সড়কগুলো এখন চার লেন হয়ে গেছে। সড়কের কাজের জন্য যানজট তৈরি হওয়ার কথা নয়। রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে হাইওয়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করব।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাদুর্ভোগ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ