Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটের ঈদ বাজারে ‘কাঁচা বাদাম’, ‘পুষ্পা’, ‘বাংলালিংক’ ও ‘সকাল-সন্ধ্যা’ শাড়ি !

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২২, ৮:০৮ পিএম

পুরোদমে এখনো জমেনি সিলেটে ঈদ বাজার। তারপর বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। নগরীর মার্কেট ও শপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষনীয়! এতে আশায় বুক বেঁধেছেন বিক্রেতারা। গত দু বছরের করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। সেকারনে দোকানপাটে সাজগোজের পাশাপাশি পছন্দসই জামা কাপড় তুলেছেন ক্রেতাদেও তুষ্টিতে। মেয়েদের জন্য এবারের অন্যতম আকর্ষণ ‘কাঁচা বাদাম’, ‘পুষ্পা’, ‘বাংলালিংক’ ও ‘সকাল-সন্ধ্যা’ শাড়ি। বাহারি রঙ্গের ‘পুষ্পা’ ও ‘কাঁচা বাদাম’ নামের থ্রি-পিসও ইতোমধ্যে বেশ সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে আগ্রহী ক্রেতাদের মধ্যে। বিক্রেতারা প্রত্যাশা বলছেন, নতুন নামের কালেকশন ভালো বিক্রি হবে। এবারের ঈদ মার্কেটে ঝড় তুলবে পুষ্পা ও কাঁচা বাদাম নামর শাড়ি ও থ্রি-পিস। এছাড়াও জয়পুরি জর্জেট, অরগাঞ্জা, কাস্মীরী কাতান এবং পাকিস্তানি ও কাস্মীরী জর্জেট দৃষ্টি কাড়ছে নারী ক্রেতাদের। নগরীর বিভিন্ন বিপণী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানেই কম বেশি ক্রেতা আসছে। অনেকেই দেখে যাচ্ছেন, কেউবা দাম জেনে যাচ্ছেন। আবার দাম এবং পছন্দ মিল হলে কেউ কেউ নিয়েও যাচ্ছেন। এদিকে, সিলেটের ঈদ বাজারে এবার পাঞ্জাবির অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে- খদ্দের, সুতি, সিল্ক, সুলতানি, প্রিন্স, নকশি প্রভৃতি। সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পঁচিশ হাজার পর্যন্ত রয়েছে পাঞ্জাবির দাম। শিশুদের আইটেমের মধ্যে রয়েছে, টপস, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা প্রভৃতি। যার মূল্য সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। এবার ঈদে ছেলেদের অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন ডিজাইন ও ব্র্যান্ডের জিন্স প্যান্ট। এছাড়াও রয়েছে জন লেংফোর্ড, জিকিউ, এলেইন ডেলন ও জিফিনিসহ অনেক ধরনের টি-শার্ট। জুতার বাজারে রয়েছে ঈদের বিশেষ শো-আইটেম সেন্ডেল, স্লিপার ওয়াটার প্রোপ, হাফ সু-কালেকশান ও লুফার প্রভৃতি। এদিকে, ক্রেতারা বলছেন, আগের সব বছরের তুলনায় এবার কাপড়-জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে। তবে পছন্দের জিনিস দর-দাম করে কিনলে কেনা যায় সাধ্যের মধ্যেই। সলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হক বলেন- অন্যান্য বছর বিদেশিরা ছুটি পেতেন এবং দেশে এসে ঈদ করতেন। যে কারণে প্রবাসী কাস্টমাররা আমরা বেশি পেতাম। তবে এবার প্রবাসী কাস্টমাররা হলি ডে'র ছুটি পাননি বলে বিদেশি কাস্টমার কম। তবে এখনও অনেকটা বেচাকেনা হচ্ছে। করোনার কারণে গত কয়েক বছর তেমন বেচাকেনা হয়নি। তবে আশা করা যায় পূর্বের সমস্যা কাটিয়ে এবার ভালো উপার্জন করতে পারবো। অপরদিকে, সাধারন মানের পোষাকের জন্য নগরীর হাসান মার্কেট ্ও হকার্স মার্কেটের তৃুলনা নেই। এই মার্কেটগুলোতেও ভিড় দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের। হকার্স মার্কেটের আল ফালাহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক খসরুজ্জামান বলেন, ভিড় হচ্ছে, লোকজনের উপস্থিতিতে আমরা আশা করছি ব্যবসা এবার ভালো হবে। গত দু’বছরের ক্ষতির একটি প্রতিদান পাবো আমরা হয়তো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ