বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কিশোরগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবি, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছেন। আজ সোমবার সকালে পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত গৃহবধূর নাম সেলিমা বেগম (২৮)। ওই ঘটনায় সেলিমার বড়ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে নিকলী থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ স্বামী বরজু মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও সেলিমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের টেংগুরিয়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে বরজু মিয়ার সঙ্গে সেলিমা বেগমের বিয়ে হয়। তিনি রশিদাবাদ ইউনিয়নের সিমন্তপুর গ্রামের সুবেদ আলীর মেয়ে। ১০ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
সেলিমার পরিবার দাবি করেছে, বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতেন স্বামী বরজু মিয়া। টাকা না দিলেই স্বামী, শ্বশুরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সেলিমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। সেলিমা বেশ কয়েকবার বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিয়েছেন। গতকাল রোববার স্বামী তাকে বাবার বাড়ির অংশ বিক্রি করে টাকা এনে দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। পরে লাশের গলায় দড়ি পেঁচিয়ে বাড়ির পাশে খালের পাড়ে একটি গাছের ডালে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঈদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত সেলিমার মাথায় দায়ের দুটি কোপ ও পিঠে একটি কোপ রয়েছে। আসামি বরজু মিয়ার ঘাড়েও রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বড়ভাই জামাল মিয়া আজ দুপুরে বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে স্বামী বরজু মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।