বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দুর্নীতির অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেনসহ দু’জন কারাগারে রয়েছেন। কারাগারের বিষয়টি বেশ গোপনীয়তা অবলম্বন করা হলেও অবশেষে তা ফাঁস হয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালত সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (মানি লন্ডারিং) আব্দুল মাজেদ বাদি হয়ে ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ নম্বর মামলাটি করেন। যার নম্বর দুদক কুষ্টিয়া জিআর ০১/২২। ২০০টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ৬০০ মেট্রিকটন চাল যার মূল্য ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা কাজ না করেই আত্মসাৎ করার অভিযোগে এ মামলাটি করা হয়। এ মামলার আসামি রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার সজ্জনকান্দা (বড়পুল) গ্রামের মরহুম আমজাদ হোসেনের ছেলে তৎকালীন জীবননগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন এবং জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী গ্রামের মরহুম আমির হোসেন মালিকের ছেলে বর্তমানে জীবননগর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জীবননগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সাইফুর রহমান মালিক।
আসামীরা চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির না হয়ে উচ্চ আদালতে জামিনে ছিলেন। গত ২০২২ সালের ২৭ মার্চ বিশেষ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জিয়া হায়দারের আদালতে জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর হয়। মামলার ৪ নম্বর আদেশে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। আগামী ২০২২ সালের ১০ মে পরবর্তী শুনানী দিন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি হতে ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়। এরপর ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক (অনু: ও তদন্ত) ফারজানা ইয়াসমিন অভিযুক্তদ্বয়ের বিরুদ্ধে এজাহার করার অনুমোদন দেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার সাদাত হোসেন জানান, প্রকল্প কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন কারাগারে যাওয়ার পর ২০২২ সালের ২৮ মার্চ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠির মাধ্যমে সেটা জানানো হয়। এরপর ৩০ মার্চ এক চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে ওই স্থানে জীবননগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।