বেগমগঞ্জের হাজীপুর ইউনিয়নে বাবার কোলে শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়াকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ আরও ৫ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। গত মঙ্গলবার রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-১১ (সিপিসি-৩, কোম্পানি কমান্ডার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, প্রধান আসামি রিমন ও তার সহযোগী মহিউদ্দিনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাছ থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সন্ত্রাসী রিমনের ছোড়া গুলিতেই মারা যায় শিশু জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া। র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এমন স্বীকারোক্তি দেয় তাসপিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রিমন। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাবের সহকারি পরিচালক লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এসব কথা জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ এপ্রিল বিকালে মাওলানা মো. আবু জাহের তার ৩ বছরের শিশু কন্যা তাসফিয়াকে চকলেট ও চিপস কিনে দেয়ার জন্য বেগমগঞ্জ থানাধীন হাজীপুর গ্রামে একটি দোকানে ৩ যায়। এ সময় কুখ্যাত সন্ত্রাসী রিমন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়। এ সময় পূর্বের ক্ষোভের জেরে রিমনসহ গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীরা আবু জাহেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট ছুঁড়ে মারলে মাওলানা জাহেরের শিশু কন্যা তাসফিয়া আক্তার জান্নাত মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়।
এ সময় শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে উদ্ধত হন। এসময় সন্ত্রাসী রিমন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বাবা ও মেয়েকে গুলি করে। গুলির আঘাতে তাসফিয়ার মাথায়, পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হয়। এছাড়া মাওলানা জাহের এর মাথায় ও চোখে গুরুতর জখম হয়। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে কুমিল্লায় শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়া মৃত্যুবরণ করে। গ্রেফতারকৃতরা তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের পর তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়।