Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে সাড়ে ৩ লাখ পরিবারের মাঝে ভর্তূকি মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ

পাঁচ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে চালের দ্বিতীয় কিস্তি সরবরাহ শুরু

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২২, ১০:০৫ এএম

দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ১ কোটি পরিবারকে ভতর্’কি মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবারহ কর্মসূচীর আওতায় দ্বিতীয় কিস্তির পণ্য সরবারহ শুরুর পাশাপাশি ১০ টাকা কেজি দরে আরো প্রায় ৫ লাখ পরিবারকে চাল সরবারহ শুরু হয়েছে। টিসিবি’র মাধ্যমে ভতর্’কি মূল্যে গত মাসে ৩টি এবং চলতি মাসে ৪টি খাদ্যপণ্য সরবারহ করা হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট পরিবারগুলোর বাইরে দক্ষিনাঞ্চলে জেলাÑউপজেলায় খোলা বাজারে টিসিবি’র পণ্য বিক্রী কার্যক্রম গত মাসের মধ্যভাগ থেকে বন্ধ রাখায় বিশাল জনগোষ্ঠী কিছুটা কম দামে ঐসব খাদ্যপণ্য সংগ্রহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ফলে এ কার্যক্রম দক্ষিণাঞ্চলের বাজার পরিস্থিতির ওপর তেমন ইতিবাচক প্রভাব না ফেললেও নির্দিষ্ট সুবিধাভোগী পরিবারগুলো কিছুটা হলেও স্বস্তি লাভ করছেন। ভতর্’কি মূল্যে নির্ধারিত ৩ লাখ ৪০ হাজার পরিবারের বাইরে এ অঞ্চলে শুধুমাত্র বরিশাল মহানগরীতে ১৫টি ট্রাকে এখন টিসিবি’র খাদ্যপণ্য সরবারহ অব্যাহত রয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় বানিজ্য সংস্থাটি এবার দক্ষিনাঞ্চলে রমজানের অন্যতম প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য খেজুর বিক্রী করছেনা। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিনাঞ্চলের রোজাদারদের মধ্যে যথেষ্ঠ ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।

ইউনিয়ন পরিষদের সুপারিশের আলোকে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী মার্চের দ্বিতীয় পক্ষে এ অ্যঞ্চলের ৩ লাখ ৪০ হাজার ১শ পরিবারের মাঝে ২ কেজি করে চিনি, ভোজ্য তেল ও মুসুর ডাল সরবারহ করা হলেও ছোলা বুট দেয়া হয়নি। তবে ১৭ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফার কার্যক্রমে ২ কেজি করে ছোলাবুট সরবারহ করা হলেও এসব ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেও কোন খেজুর সরবারহ করা হচ্ছে না। এ কার্যক্রমে বরিশালে প্রায় ৬৮ হাজার, পটুয়াখালীতে ৬৩ হাজার, ভোলাতে ৩৪ হাজার ৬৫৪, পিরোজপুরে ৩৪ হাজার ৩৭৩, বরগুনাতে ২৯ হাজার এবং ঝালকাঠীতে ২২ হাজার পরিবার ভর্তূকি মূল্যে খাদ্যপণ্য পাচ্ছেন। এসব পরিবারের মাঝে দু দফায় ৬৮০ টন করে মুসুর ডাল ও চিনি ছাড়াও ৬লাখ ৮০ হাজার লিটার ভোজ্য তেল এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৮০ টন ছোলা বুট সরবারহ করা হচ্ছে। বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসন পুরো কার্যক্রমটি তদারক করছেন।
অপারদিকে প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিল এবং অক্টোবর,নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ৪২টি উপজেলা সহ পৌর এলাকাগুলোর প্রায় ৫ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল সরবারহ করে আসছে সরকার। এবছরও মার্চের কার্যক্রম শেষ করার পরে এপ্রিল মাসের চাল বরাদ্ব ও সরবারহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এ কার্যক্রমে প্রতি মাসে ১৪ হাজার ৬০৬ টন করে দু মাসে ২৯ হাজার ২১৩ টন চাল সরবারহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রস্তাবনার আলোকে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী ৪২টি উপজেলার এসব সুবিধাভোগীরা ১০ টাকা কেজি দরে বছরে মোট ৫ মাস চাল পচ্ছেন।

অপরদিকে বরিশাল মহানগরীতে ১৯ জন সহ দক্ষিনাঞ্চলের প্রায় ২৫টি পৌর এলাকার ৬৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা দরে আটা বিক্রী করছে খাদ্য অধিদপ্তর। এ কার্যক্রমে যেকোন ব্যাক্তি ডিলারের কাছ থেকে প্রতিদিন ৫ কেজি করে চাল ও সমপরিমান আটা কিনতে পারছেন। তবে এ কার্যক্রম শুধুমাত্র বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের পৌর এলাকাগুলোতেই সীমাবদ্ধ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ