রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী মো. তনু মিয়ার স্ত্রী তিন সন্তানের জননী হাওয়া বেগম স্বামীর ঘরে ফিরে যেতে গত সোমবার দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন তার স্বামী প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে স্বামীর ভগ্নিপতি মো. ছিদ্দিকুর রহমান ও ছিদ্দিকুর রহমানের মামা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কিসলু তার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন সময় তাদের অনেক সম্পাদ আত্মসাত করছে। বিষয়টি তিন সন্তানের ওই জননী মোসা. হাওয়া বেগম বুঝতে পেরে ছিদ্দিক ও কিসলুর কাজে বাঁধা হয়ে দাড়ায়।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে হাওয়া বেগমকে স্বামীর সংসার থেকে বিতারিত করতে তার স্বামী মো. তনু মিয়ার কাছে হাওয়া বেগমের নামে বিভিন্ন অসত্য অসামাজিক তথ্য প্রকাশ করে। এতে সহজ সরল মানসিক প্রতিবন্ধী তনু মিয়া তাদের কথা বিশ্বাস করে মোসা. তাইফা (৭) ও মোসা. খাদিজা (১২)সহ স্ত্রীকে ঘর থেকে প্রায় এক বছর পূর্বে বিতারিত করে দেয়।
সেই থেকে দুটি কন্যা শিশু সন্তানসহ হতদরীদ্র পিতার বাড়িতে অনাহারে অর্ধাহার জীবন যাপন করছেন হাওয়া বেগম।
হাওয়া বেগম বলেন, ছিদ্দিকুর রহমান ও ছিদ্দিকুর রহমানের মামা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন কিসলুর কুপরামর্শে আমি দুটি শিশু কন্যা সন্তানসহ প্রায় একটি বছর পর্যন্ত হতদরীদ্র বাবার সংসারে বোঝা হয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছি। তিনি বলেন, আমার তিনটি মেয়ের মধ্যে বড় মেয়েটির বিবাহ হলেও বর্তমান সমস্যার কারনে সে মেয়েটিও সুখে নাই।
হাওয়া বেগম বলেন, আমি উক্ত ছিদ্দিক ও জাহাঙ্গীর হোসেন কিসলুর বিচারসহ আমি আমার স্বামীর ঘরে ফিরে যেতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।