বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুকে লাইভ দেওয়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সদ্যবিলুপ্ত কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমনের পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল দুপুরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ৬ মাস মেয়াদি কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার সময় ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি লাইভ করেন তিনি। এরপর ফেসবুকে লাইভটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। শুর হয় আলোচনা-সমালোচনা।এরপর এ ঘটনা তদন্তে ৯ এপ্রিল ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইন্সট্রাক্টর সোহরাব হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। একই রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।
ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন সুমন কালীগঞ্জ শহরের প্রিজম কম্পিউটার একাডেমির শিক্ষার্থী ছিলেন। তদন্ত কমিটি ওই দিন পরীক্ষার হলে উপস্থিত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হয়েছে। তারা বলেন, তারা নিষেধ করলেও তিনি লাইভ চালিয়ে গেছেন। তাদের দিয়ে জোরপূর্বক লাইভ করিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় ভয়ে কিছু বলতে পারেননি।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাজেদ উর রহমান জানান, পরীক্ষার দিন উপস্থিত সবার সঙ্গে কথা বলেই প্রতিবেদন করেছেন তদন্ত কমিটি। তিন দিন পর তদন্ত প্রতিবেদন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রিজম কম্পিউটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহমান বলেন, পরীক্ষার হলে লাইভ দেওয়ার ঘটনায় ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাঠানো একটি তদন্ত রিপোর্ট তারা পেয়েছেন। প্রতিবেদনে ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও বোর্ডের ডিসিপ্লিনারি কমিটি ওই শিক্ষার্থীর বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি। লাইভে পরীক্ষার হলে একটি নারী শিক্ষার্থীকে কটাক্ষ করে ‘ওই একটা খালা পরীক্ষা দেচ্ছে ওই পাশে’ মন্তব্য করেন সুমন। যেটি একদমই অনুচিত। এসব ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা না নিলে পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলেও ধারণা তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।