Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসায়ী অপহনের ঘটনায় জড়িত গ্রেফতার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বহিস্কার।

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২২, ৮:০৭ পিএম

পটুয়াখালীর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শিবু লাল দাস ও তার গাড়ী চালক মিরাজকে অপহরনের পর ২০ কোটি টাকা মুক্তিপন দাবীর ঘটনায় জড়িত থাকায় জেলা স্বেচ্ছাসেবকলগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান পারভেজকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। পটুয়াখালীর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শিবু লাল দাস ও তার গাড়ী চালক মিরাজকে অপহরনের পর ২০ কোটি টাকা মুক্তিপন দাবীর ঘটনায় জড়িত থাকায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. আতিকুর রহমান পারভেজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোবাশে^র চৌধূরী’র নির্দেশক্রমে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত ১৮ এপ্রিল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মো. আতিকুর রহমান পারভেজকে বহিস্কার করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর সুপারিশের প্রেক্ষিতে (গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৩৪ এর গ উপধারা অনুযায়ী) কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের নির্দেশক্রমে পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান পারভেজকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হলো।
প্রসঙ্গত গত ১১ এপ্রিল সোমবার রাতে গলাচিপা উপজেলার ব্যবসা কেন্দ্র থেকে পটুয়াখালী শহরের নিজ বাসায় ফেরার পথে হরিদেবপুর-শাখারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের যে কোন স্থান হতে ব্যবসায়ী শিবু লাল দাস ও তার গাড়ী চালক ও ব্যক্তিগত গাড়ীসহ অপহরন হন। ওই দিন রাতেই বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আমগাছিয়া নামক স্থানে একটি পেট্রোল পাম্প থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় তার গাড়ী উদ্ধার করা হয়। রাত ২টার দিকে শিবু দাসের মোবাইল থেকে তার স্ত্রী গীতা দাসের মোবাইলে ফোন করে ২০ কোটি টাকা মুক্তিপন দাবী করা হয়। ঘটনার ২৪ ঘন্টার পরে রাত অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে শহরের কাজীপাড়া এলাকায় এসপি কমপ্লেক্স শপিং সেন্টারের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে ঘটনার মূল হোতা লাংড়া মামুনের ভাড়া গোডাউন থেকে জীবিত অবস্থায় শিবু লাল দাস ও তার ড্রাইভার মিরাজকে দুই হাত, দুই পা, মুখে, চোখে রশি, কাপড় ও কসটেপ দ্বারা বাধা প্লাস্টিকের বস্তা ভর্তি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বুদ্ধদেব দাস বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশের দীর্ঘ অভিযানে মো. আতিকুর রহমান পারভেজসহ ঘটনায় জড়িত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জড়িত বাকীদের গ্রেফতারে ঢাকার গোয়েন্দারা ও পটুয়াখালীর পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ