বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফেনীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা স্বামী কাউসার আলম তৈমুরের শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী বিরোদ্ধে। ঘটনার ৬ দিন পর গতকাল রোবববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইউনিটে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৈমুরের স্ত্রী খাদিজা বিনতে শামস রুপাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৈমুর ফেনী শহরের নাজির রোডের আবু তৈমুর চৌধুরীর ছেলে। সে ফেনীর ফ্রেন্ডশীপ ক্রিকেট ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড় ছিলেন।
নিহতের ছোট ভাই তানজুর চৌধুরী বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তার ভাই ও ভাবীর সাথে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। গত সোমবার ভোর ৬টার দিকে তার ভাইয়ের চিৎকার শুনে তারা ছুটে গিয়ে দেখতে পায় গরম পানিতে তার ভাইয়ের শরীর ঝলসে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাকে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইউনিটে নেয়া হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তার মৃত্যু হয়। এদিকে মৃত্যুর আগে নিহতের লেখা ও স্বাক্ষর করা জবানবন্দীতে তিনি জানান, তার এই অবস্থার জন্য তার স্ত্রী জড়িত। সে লিখেছে সে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় গরম পানি ঢেলে দিয়েছে। লেখার নীচে তৈমুর স্বাক্ষর ও টিপসই রয়েছে।
তৈমুর শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার স্ত্রী রুপা। গ্রেফতারের আগে রুপা জানান, তাকে ফাঁসাতে অন্য কেউ এ চক্রান্ত করছে। সেদিন সেহরী খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। তার গায়ে কিভাবে গরম পানি পড়েছে তিনি তা জানেন না। ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে রুপাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।