পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতাদের অনিয়ম, দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সংগঠনটির অভিভাবক তারেক রহমান। গত মঙ্গলবারই এই ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটে। ওইদিন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৩জন নেতার সাথে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করেন তিনি। কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ ৫ নেতা (সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক) উপস্থিত থাকলেও তাদের কারো সাথেই তিনি সেদিন কথা বলেন নি। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বর্তমান কমিটির বিষয়ে কী করা উচিত, নতুন কমিটি করলে কী ধরনের নেতা নির্বাচন করা উচিত এবং জেলা কমিটির বিষয়ে কী করা উচিত ইত্যাদি নানা প্রশ্ন করেন তারেক রহমান। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা তারেক রহমানকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ন্যস্ত করেন। এরপর থেকেই নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা ডানা মেলে। এরই মধ্যে গতকাল শনিবার শীর্ষ নেতাদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তারেক রহমান। বৈঠকে সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৫টা থেকে আধাঘণ্টা ব্যাপী এই বৈঠকে তাদের সকলের কথা শুনেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ছাত্রদল নেতা জানান, তারা ছাত্রদল পরিচালনার ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকলে সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চান। একজন ছাত্রনেতা তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্রদল পরিচালনায় আমরা যেটুকু যোগ্যতা অর্জন করেছি তা আপনার কারণেই। আমাদের এখন রাজনীতি করা ছাড়া আর কোন কিছু করার নেই। আমরা রাজনীতিই করতে চাই। সংগঠন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে সকলের পক্ষ থেকে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন।
আরেকজন শীর্ষ নেতাও দায়িত্বপালনকালে ভুলত্রুটির জন্য তারেক রহমানের কাছে ক্ষমা চান। ছাত্রদল অভিভাবকের স্নেহানুকূল্য থেকে যেন তাদেরকে বঞ্চিত করা না হয় সেই অনুরোধ করেন।
এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উপস্থিত ছাত্রদল নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্রদলের সাথে তিনি ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছেন। সংগঠনটির বিষয়ে তিনি নতুন সিদ্ধান্ত নিতে চান। কিন্তু শীর্ষ নেতাদের সাথে পরামর্শ না করে তিনি কিছু করতে চান না। এজন্য তাদের সাথে ওই বৈঠক। তাদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন তিনি যদি কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে তাদের কোন আপত্তি বা মতামত আছে কিনা? এসময় ৫ জনই ছাত্রদলের বিষয়ে তারেক রহমানের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার কথা বলেন।
বৈঠক থেকে বের হয়ে ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, খুব শিগগিরই হয়তো ছাত্রদলের কমিটি ভেঙে দেয়া হতে পারে এমনই মনোভাব বুঝতে পেলেছেন। তবে স্পষ্ট করে কোন কিছু না বললেও বর্তমান নেতাদের প্রতি যে তিনি সন্তুষ্ট নয় সেটা প্রকাশ পেয়েছে।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল নির্বাচিত হন। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর ৬০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর এ কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি বর্তমান নেতৃত্ব। এছাড়া ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গরিমসি করে দীর্ঘসূত্রিতা করার অভিযোগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকে নতুন কমিটি গঠনের দাবি ওঠে সংগঠনের মধ্য থেকে। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে শীর্ষ নেতাদের ৫ দফা সময়ও বেধে দেয়। যার সর্বশেষ তারিখ দেয়া হয়েছিল ৩০ মার্চ। কিন্তু এর মধ্যেও কমিটি করতে পারেনি ছাত্রদল নেতারা। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ সংগঠনটির অভিভাবক তারেক রহমান। একইসাথে উপজেলা, পৌর ও কলেজ কমিটি গঠন এবং জেলা কমিটি গঠন নিয়েও নানা অভিযোগ জমা পড়ে তারেক রহমানের কাছে। এর মধ্যে বেশ কিছু কমিটিতে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ, ভিডিও ফুটেজও পাঠানো হয়েছে তার কাছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করা একাধিক নেতা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতারও অভিযোগ আনেন। এসব বিষয় নিয়েই ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।