Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মানিকগঞ্জে তীব্র গ্যাস সঙ্কট

মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

মানিকগঞ্জে দীর্ঘ দিন ধরে গ্যাসের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো আবাসিক গ্রাহক। রমজান মাসে এ দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারন করছে। স্থানীয় সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর একই অবস্থা। দীর্ঘ দিন ধরে ফিলিং স্টেশনে গ্যাসের চাপ না থাকায় যানবাহনে ঠিকমতো গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে ১/২ ঘণ্টাও গ্যাস থাকে না বাসাবাড়িতে। বাধ্য হয়ে রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস কিংবা লাকড়ি দিয়ে।
তথ্য মতে, জেলা শহর ও তার পাশ^বর্তি এলাকা নিয়ে ১২ হাজার ১শ’ ২০ জন তিতাসের গ্যাসের আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। এছাড়া মিটার দেয়া ৪১টি ইন্ডাস্ট্রিজ, ১৮টি সিএনজি স্টেশন, ৩২টি বিদ্যুৎ উৎপাদন জেনারেটর এবং ৩৮টি হোটেল-রেস্টুরেন্ট রয়েছে। পাইপ লাইনের গ্যাস না থাকায় গ্রাহকরা রান্নার জন্য ব্যবহার করছেন এলপিজি অথবা লাকড়ি। রান্নায় এলপিজি ও লাকড়ি ব্যবহার করায় বাড়ছে খরচ। আর লাড়কি ব্যবহার করায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। ইন্ডাস্ট্রিজ ও সিএনজি স্ট্রেশনগুলো মূল গ্রিডের কাছে এবং সরবরাহ পাইপ মোটা থাকায় তারা কিছুটা গ্যাস পেলেও শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকরা মোটেই গ্যাস পাচ্ছেন না। জেলায় মাসে ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ঘনমিটার গ্যাসের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ করা হয়েছে ১ কোটি ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ঘন মিটার।
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার কুইক ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মো. আব্দুল লতিফ জানান গত ৩ এপ্রিল হতে মেইন লাইলে গ্যাস না থাকায় যানবাহনে গ্যাস সরবরাহ করতে পারছি না। গত ৯ এপ্রিল দুপুরের দিকে একটু গ্যাস আইছিল তখন ২৩ হাজার টাকার গ্যাস বিক্রি করছিলাম। তার পর বিকেল থেকে আবার লাইনে গ্যাসের চাপ কমে যায়। এখন আমাদের কর্মচারীরা বেকার বসে রইছে। এ সমাধান দাবী জানান তিনি।
পৌর সভার বাসিন্দা গাজী ওয়াজেদ আলম লাবু জানান, ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থেকে সঞ্চালনা পাইপের মাধ্যমে মানিকগঞ্জে এসব গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। আশুলিয়া, সাভার এবং ধামরাইয়ের বিভিন্ন শিল্প কারখানা এবং আবাসিক চাহিদা মেটানোর পর অবশিষ্ট গ্যাস মানিকগঞ্জে সরবরাহ করা হয় । যার ফলে মানিকগঞ্জে গ্যাসের চাপ কম।
পৌর এলাকার গৃহিনী সুতানা আক্তার বলেন, গ্যাসের সঙ্কটের কারণে সময় মতো রান্নার কাজ সারতে পারি না। গ্যাসের অপেক্ষায় না থেকে বাধ্য হয়েই সেহরীর রান্নাও লাকড়ির চুলা দিয়েই করতে হয়। কি যে কষ্ট তা বলে বোঝানো যাবে না।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ট্রাক মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, মানিকগঞ্জ শহর থেকে ট্রাকে গ্যাস আনতাম। কিন্তু ৭/৮ দিন ধরে ফিলিং স্টেশনে গ্যাস না পেয়ে ঢাকাণ্ডহেমায়েতপুর থেকে গাড়ীতে গ্যাস আনতে হচ্ছে। এতে সময় বেশী লাগছে অপর দিকে ধল্লা ব্রিজে তিনশ টাকা টোল দিতে হয়। আমরা গাড়ী নিয়ে খুব কষ্টে আছি। গ্যাসের কারনে ঠিক মত গাড়ী চালাতে পারছি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ