রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্র নগর এলাকাবাসীর বাঁধা উপেক্ষা করে প্রায় ৫০ বছরের পুরনো একটি সরকারি রাস্তা (ডহর) কেটে খাল খননের পায়তারা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। ওই খাল খনন বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের ভাষ্য ও অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর মধ্যে পাড়ার সিরাজ মন্ডল ও আক্কাস মন্ডলের বাড়ি হতে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত একমাত্র সরকারি রাস্তাটি এলাকার কৃষকদের জমির আবাদী ফসলসহ সব ধরনের মালামাল গরু ও মহিষের গাড়িতে আনা নেয়া ও মানুষের চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ। এই রাস্তাটি যদি খনন করে খাল কাটা হয় তাহলে ওই এলাকার কয়েক হাজার কৃষকেরা চরম ভোগান্তিতে শিকার হবেন। তাই এলাকার কৃষকরা রাস্তাটি বাঁচানোর স্বার্থে ইউএনও, এসিল্যান্ডসহ বিভিন্ন অফিস ধরনা দিচ্ছেন। যোগেন্দ্রনগর গ্রামের মো. মাহাবুবুর রহমান, রেজাউল করিম, বেলাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই সরকারি রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছে। দিকদাড়িয়া বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমতির লি. এর সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো. ফিরোজ হোসেন এই সরকারি রাস্তা কেটে খাল খনন করে নিজেদের স্বার্থে ওই বিলে মাছ চাষসহ নানা রকম আর্থিক লাভের জন্য এই গুরুত্বপুর্ণ রাস্তাটি নষ্ট করার পায়তারা করছেন। তারা আরো জানান, আমাদের এলাকার অর্ধশত বছরের পুরোনা সরকারি রাস্তাটি যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের সাথে, মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন কল ও এসএমএস করেও সারা পাওয়া যায়নি।
দিকদাড়িয়া বিল পানি ব্যবস্থাপনা সমতির লিঃ এর সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, সরকারী ওই রাস্তটি বিলের পানি বের করার জন্য খনন করা হবে। তবে ওই নালার দুই পাশ দিয়ে রাস্তা করে দেওয়া হবে। এতে কৃষকের কিছু জমি রাস্তার মধ্যে আসতে পারে। বৃহত্তর স্বার্থে তাদের এই ছাড় টুকু দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান সুজা অভিযোগ প্রাপ্তি নিশ্চিত করে বলেন, রাস্তাটি জনগুরুত্বপুর্ণ। এই রাস্তা খনন করে খাল কাটলে ওই এলাকার কৃষকদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসন বলেন, এবিষয়ে এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।