Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সবুজে ছেয়ে গেছে কটিয়াদীর বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা সবুজ প্রান্তরে পরিণত হয়েছে শষ্য ভান্ডার খ্যাত কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার প্রতিটি মাঠ। দিগন্তজুড়ে যেদিকে তাকাই শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজের সমারোহে চোখ যেন জুড়িয়ে যায়। হিমেল বাতাসে মিষ্টি রোদে হাসছে কৃষকের স্বপ্ন। সবুজ প্রকৃতি সবাইকে যেন মুগ্ধ করে তুলেছে।

উপজেলার প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিটি মাঠ এখন কৃষকের সবুজ স্বপ্নে ছেঁয়ে গেছে। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার পৌরসভা ও ৯ ইউনিয়নে ১২ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গতবারে শ্রমিক সংকটের কারণে এবারো ইরি-বোরো চাষ নিয়ে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বোরো চাষ হয়েছে। পাশাপাশি ভুট্টা চাষও করেছে অনেক কৃষক। কটিয়াদী এলাকার কৃষকরা এবার বোরো চাষকে সৌভাগ্য হিসেবে মনে করছেন
উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক আজাদ সরদার বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আমরা অধিকহারে বোরো ধান চাষ করেছি। আশা করছি, এবার বোরো ধানে বাম্পার ফলন হবে।

উপজেলার জালালপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ধান গাছে সময়মতো পানি পাওয়ায় এখন গাছ সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। চারিদিকে যেন সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই দৃষ্টি যেন জুড়িয়ে যায়। এবার বড় ধরনের ঝড় বা শীলা বৃষ্টি না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আমরা অনেক উপকৃত হব এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব বলে মনে করছি।

উপজেলা উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা আলতাব হোসেন বলেন, ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন বোরো চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুকসেদুল হক বলেন, অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার কটিয়াদী এলাকার কোথাও মাজড়া পোকার আক্রমণ নেই। ফলে আমরা আশা করছি, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ