Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারি ডিজিটাল সেন্টারের পাসওয়ার্ড দোকানে দোকানে!

জাল স্বাক্ষরে চলে কার্যক্রম

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

ভূঞাপুরে সরকারি ডিজিটাল সেন্টারের পাসওয়ার্ড কম্পিউটারের দোকানে দোকানে! চেয়ারম্যান-সচিব বিহীন ইউনিয়ন পরিষদে জাল স্বাক্ষরে চলে সকল কার্যক্রম। উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের শহর তালুকদারের ছেলে আলম তালুকদার (১৯)। গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে জনবল নিয়োগ করা হলো। তার দীর্ঘদিনের আশা ছিল পুলিশে চাকরি করে দেশ সেবায় অংশ নেবে। কিন্তু বিধিবাম, সে আশায় গুড়েবালি। সামান্য নাগরিকত্ব সনদের জন্য সে পুলিশের মাঠে দাঁড়াতে পারেনি। এ রকম শুধু আলম তালুকদার নয় অসংখ্য লোক জন্ম ও মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশিয়ান সনদসহ নানা জটিলতায় অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু লোক হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

এমনভাবে চলছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের দাপ্তরিক কার্যক্রম। গত ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হলেও ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গেজেট প্রকাশ স্থগিত হয়ে যায়। যে কারণে পরিষদে চেয়ারম্যান নেই। অন্যদিকে পরিষদের সচিব অন্যত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় এবং অন্য ইউনিয়নের সচিবকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়। অনিয়মিত অফিস করার কারণে নানা দুর্ভোগে পড়েছে ইউনিয়নবাসী। এই সুযোগে প্রশাসনের গোপনীয় ডিজিটাল সেন্টারের পাসওয়ার্ড ব্যবহার হচ্ছে কমপক্ষে ৩টি কম্পিউটারের দোকানে। তারা সরকারি এই গোপনীয় সার্ভারে ঢুকে নানা অপকর্ম করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব কম্পিউটারের দোকানে জন্ম ও মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশিয়ান সনদ, ট্যাক্স রশিদ, ট্রেড লাইসেন্স এবং নাগরিকত্ব সনদসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে জাল স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তিরাও সেখানে নিবন্ধিত হতে পারেন বলে শঙ্কা রয়েছে।

নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ (শাপলা) জানান, জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বি পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী যাতে গেজেট প্রকাশ না হয় তার জন্য নানা অপকর্মে লিপ্তি হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে আমার দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করলে ইউনিয়নবাসী নানামুখী সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমে অবহিত হলাম। আমি সচিবকে ডেকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার ব্যবস্থা করছি। অন্যান্য বিষয়গুলো তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ