Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভাসমান যৌনকর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার তৃতীয় ব্যাচের সমাবর্তন ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২২, ৭:৫৮ পিএম

শহরের প্রান্তিক নারীদের পুনর্বাসন কর্মসূচি “পূর্ব-পশ্চিম” এর আওতায় ১৪ই এপ্রিল ভাসমান যৌনকর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার তৃতীয় ব্যাচের সমাবর্তন ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় ছিলো গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের “প্রজেক্ট লড়াই” নামক প্রকল্প এবং “কেকে ফাউন্ডেশন” এর প্রজেক্ট ইউ-টার্ণ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো যৌনকর্মীদের সহায়তামূলক সংগঠন “বাঁচতে চাই”।

অনুষ্ঠানে সদ্য সমাপ্ত ব্যাচের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নারীদের সনদ প্রদান এবং এই পর্যন্ত প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী সকলকে ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, এই কর্মসূচির অধীনে এখন পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে মোট ২৩ জন ভাসমান যৌনকর্মী সেলাই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেই সেলাই মেশিন কিনে দেওয়াসহ বিভিন্ন তৈরী-পোশাক কারখানায় কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন নারীকেই দক্ষতার ভিত্তিতে পরবর্তী প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য শহরের প্রান্তিক নারীদের মধ্যে অন্যতম জনগোষ্ঠী ভাসমান যৌনকর্মীদের আর্থসামাজিক উন্নতি সাধন করা এবং তাদের এই পেশা থেকে ফিরিয়ে এনে একজন স্বাবলম্বী নারী হিসেবে গড়ে তোলা। গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের “প্রজেক্ট লড়াই” এর অধীনে চলমান আরো একটি কর্মসূচি হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধাত্রীদের 'আধুনিক জন্মদান সহায়তা পদ্ধতি' প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রসবকালীন মাতৃসূরক্ষা নিশ্চিত করা। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলার প্রত্যন্ত চর অঞ্চল- এরেন্দাবাড়িতে ৬ মাস ব্যাপ্তির ধাত্রী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ঐ অঞ্চলের শিশু মৃত্যুহার ও নারীদের প্রসবকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে আসবে, একইসাথে দক্ষতা ও আর্থিক স্বাবলম্বিতা অর্জন করবে দুর্গম এলাকার ধাত্রীরা।

উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থী, সংগঠনসমূহ এবং অতিথিদের পক্ষ থেকে একজন করে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের বক্তব্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতির বিভিন্ন দিক এবং প্রকল্পের চুড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে তাদের সকলের সর্বোচ্চ প্রয়াসের অঙ্গীকার উঠে আসে। অনষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ