বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বাবার কোলে থাকা শিশু তাসফিয়াকে (৩) গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে ৩টার দিকে নিহত তাসফিয়ার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে পৌঁছলে তাঁর স্বজনরা মরদেহ নিয়ে চৌমুহনী-ফেনী সড়কের সোরেগো পুল এলাকায় অবরোধ করে। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় স্বজন ও এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মৃত নুর নবীর ছেলে এমাম হোসেন স্বপন (৩০), লতিফপুর গ্রামের সাছুদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন বাবর (২৩) ও একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে দাউদ হোসেন রবিন (১৭)। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল চারটার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৪নং হাজীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মালেকার বাপের দোকান নামক স্থানে সউদী প্রবাসী মাওলানা আবু জাহের (৩৭) এর কোলে থাকা তিন বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়াকে শীর্ষ সন্ত্রাসী রিমনের নেতৃত্বে তাঁর বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে। আবু জাহের উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাসেদ মিয়ার বাড়ির মৃত জানু সরদারের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জান্নাতুল ফেরদৌস তাসফিয়াকে বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, সেহরির সময় নিহতের লাশ ঢাকা থেকে নোয়াখালী পৌছায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ১৭ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি এবং ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার বিকেল চারটার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামের মালেকার বাপের দোকান নামক স্থানে মাওলানা আবু জাহের (৩৭) ও তাঁর কোলে থাকা ৩ বছরের শিশু তাসফিয়া আক্তার ওরফে জান্নাতকে স্থানীয় রিমন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর পিতা সৌদি প্রবাসী মাওলানা আবু জাহেরও (৩৭) গুলিবিদ্ধ হন। তিনি উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের রাসাদ মিয়ার বাড়ির মৃত জানু সরদারের ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।