বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অসময়ের পানিতে তলিয়ে গেছে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন জাগয়গার ১২০ হেক্টর জমির কৃষকের ফসল।
যে ধানে তাদের সারা বছরের ভাতের চিন্তা করতে হতো না সেই ধান অসময়ের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা দিশে হারা হয়ে পড়েছেন।
গত দু’দিন ধরে টাঙ্গাইলের যমুনা নদী, গাজীপুরের তুরাগ এবং কালিয়াকৈর উপজেলার মকশ বিলসহ কয়েকটি বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও কৃষকরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের ইসলামপুর, ইটাহাটা, কড্ডা, মজলিসপুর, লাটিভাংগা, সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার তুরাগ নদের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো, কালিয়াকৈর উপজেলার মকশ বিল এবং মৌচাক এলাকার ধানের আবাদি জমি পানিতে ডুবে গেছে।
গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার কৃষক ইন্তাজ উদ্দিন জানান, তিনি এবার এক একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেন। ফসল ভালো হয়েছে। আর কয়েকটা দিন সময় পেলে ধানগুলো পুরোপুরি পেঁকে যেত। কিন্তু হঠাৎ করে মঙ্গলবার থেকে তুরাগ নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জমির ধান তলিয়ে গেছে। তার মতো অনেক কৃষক এমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকের মতো তিনিও আধাপাকা ধান কাটা শুরু করেছেন।
গাজীপুর মহানগরের মজলিসপুর এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি এবার ৭০ শতক জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো আবাদ করেন। ধানের শীষগুলো বেশ ঘন ছিল। এই ধান বর্তমানে কাঁচা এবং আধাপাকা অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে সব ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নেমে গেলেও কাঙ্ক্ষিত ফসল এ মুহূর্তে ঘরে তোলা সম্ভব হবে না। জমিতে দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতার পানি রয়েছে। এ মুহূর্তে ধানকাটা শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না।
কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ১০ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে এ বছর বোরো আবাদ হয়েছে। হঠাৎ নদী ও বিলের পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার মকশ বিল, কালিয়াদহ বিল, রঘুনাথপুর, বোয়ালী বিল, চান পাত্রা, আলুয়া বিলসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০০ বিঘা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কাটার উপযোগী না হলেও কাঁচা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
গাজীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানান, যেসব জমির ধান প্রায় পেঁকে গেছে সেসব জমির চাষিরা ধান কাটা শুরু করেছেন। কিছু ধান ওঠানো সম্ভব হবে। তবে বেশির ভাগ কৃষকই ক্ষতির সম্মুখীন হবে। উপজেলা এবং উপ-সহ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা তালিকা প্রস্তুত করছেন। একাধিক কৃষক জানান, যে ধানে তাদের সারা বছরের ভাত হতো এত কষ্ট ও দার দেনা করে ফলালো তাদের সেই ধান অসময়ের পানি তলিয়ে যাওয়ায় তারা এখন দিশে হারা হয়ে পড়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।