বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিয়াম সাধনার বার্তা নিয়ে পবিত্র মাহে রমজানের আগমন ঘটলেও সংযম নেই ময়মনসিংহ নগরীর ইফতারির বাজারে। এখানে বাহারি ইফতারির পসরায় দামেও চলছে বেশ বাড়াবাড়ি। এনিয়ে মাথা-ব্যাথা নেই বাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বা ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের।
ফলে বাধ্য হয়ে উচ্চ মূল্যে ইফতার কিনতে গিয়ে মনের ভেতরে অসন্তোষ জন্ম নিলেও লোক-লজ্জার ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। লাগামহীন ভাবে এ অবস্থা চলছে নগরজুড়ে।
জানা যায়, বাঙালির ইফতারের প্রধান উপকরণ ভাজাপোড়া থেকে শুরু করে ফলমূলসহ সব কিছুরই বর্তমান বাজার দর বেশ চড়া। গত বছরের তুলনায় এবার তা দ্বিগুণ বা তিনগুণ। ছোলা, মুড়ি, কাবাব, হালিম- সব কিছুৃরই যথেচ্ছা দাম চাইছেন বিক্রেতারা। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে ক্রেতারা এই আকাশছোঁয়া দামেই কিনছেন ইফতারি।
নগরীর নতুন বাজারস্থ সারিন্দা রেস্টেুরেন্টের ইফতারির পসরায় স্পেশাল আইটেম হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ‘স্পেশাল হালিম’। এর মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই সাথে গুড়ের জিলাপি চাহিদা ভালো থাকায় এর দাম ঠেকেছে কেজি প্রতি ২৪০ টাকায়। এছাড়াও বোম্ভে জিলাপি ও চিনি জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি দরে।
একই এলাকার সেফ্রন রেস্টেুরেন্টে ১১ আইটেমের ইফতারি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে দোকান কর্মচারী রিপন তালুকদার। তিনি জানান, ইফতারির আইটেমের মধ্যে সর্বনিন্ম ১৫ টাকা পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে বেগুনি, পেয়াজু ও শাকপাকুড়া। সেই সাথে ডিম চপ ৫০, ভুগনি ও বুট বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। এখানে স্পেশাল আইটেম হিসেবে ঘি ভাজা জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে।
নতুন বাজার এলাকার এমিগজ রেস্টেুরেন্টের সামনের সড়কের পাশে বাসানো হয়েছে বাহারি ইফতারির বাজার। জানতে চাইলে রেস্টুরেন্ট কর্মচারি শহীদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন প্রকারের প্রায় ২০টি ইফতারির আইটেম রয়েছে আমাদের এখানে। এর মধ্যে পেয়াজু, বেগুনি, আলু ও ডিম চপ ছাড়াও স্পেশাল আইটেম হিসেবে ৪০ টাকা পিস করে বিক্রি হচ্ছে চিকেন ডমেস্টিক, চিকেন ললি, ফ্রাই, জালি কাবাব ও স্বামী কাবাব।
একই অবস্থা নগরীর চরপাড়া, পাটগুদাম ব্রীজ মোড়, গাঙ্গিনাপাড়সহ নগরীর সবক’টি এলাকায়। দেদারছে উচ্চ মূল্যে ইফতারি বিক্রি করছে সবাই। দাম নিয়ে নেই কোন নিয়ম-নীতির বালাই।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগরী নতুন বাজার এলাকায় ইফতারি কিনতে আসা ব্যবসায়ি মো: সাখাওয়াত হোসেনসহ আরও অনেকেই। তারা জানান, ইফতারির দাম শুনলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু লোকজনের ভীড়ে লজ্জায় কিছু বলতেও পারি না। এই অবস্থা আরও অনেকের। সবাই দামে অসন্তোষ্ট হলেও লজ্জায় মুখ খুলে না।
নগরীর দারুচিনি রেস্টেুরেন্টে ইফতারি কিনতে আসা খোকন আহমেদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ইফতারির দাম ব্যাপক। ৫ টাকার জিনিসি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। কিন্তু কিছু বলার নেই। তবে উচ্চ মূল্যে ইফতারি বিক্রি বিষয়টি খতিয়ে দেখে অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন খোকন আহম্মেদসহ ভুক্তভোগীরা। তাদের ভাষ্য, মুনাফা লোভী ব্যবসায়িদের কারণেই বাজারের পন্য মূল্য নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অভিযান পরিচালনা করা জুরুরী।
ময়মনসিংহ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, দামের বিষয়টি নির্ধারক করার সুযোগ আমাদের নেই। তবুও বিষয়টি খতিযে দেখা হবে।
এবিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আরিফুর রহমান ও শাকিল আহম্মেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
তবে মসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: মহাবুল হোসেন রাজীব বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত অভিযান চলছে। এবিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।