বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে জানিয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সেই নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। কিন্ত আমরা দেশ চালাবো সবাইকে নিয়ে।
আজ বুধবার খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানায় বিএনপির তথ্য সংগ্রহ ও প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক এই মন্ত্রী এসব কথা বলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া ‘বাংলাদেশ যাবে কোনপথে ফয়সালা হবে রাজপথে’ শ্লোগান স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, অবৈধ, ফ্যাসিষ্ট, জালেম সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায়। তাদেরকে হঠাতে রাজপথের আন্দোলনই একমাত্র সমাধান।
দুপুরে খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়িগেট এলাকায় রেল লাইন সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সংক্ষিপ্ত পরিসরে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে ফুলবাড়িগেট জনতা মার্কেট চত্বরকে কর্মসূচি পালনের জন্য নির্ধারণ করা হলেও পুলিশ প্রশাসনের বাঁধা ও হুমকির মুখে তা পন্ড হয়। তবে থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের একের পর এক মিছিল আসতে থাকায় সমস্ত এলাকা রূপ নেয় জনসমুদ্রে। শেষ চৈত্রের প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী রোজা পালনরত অবস্থায় কর্মসূচিতে স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশ নেন। তাদের মুর্হুমুর্হু মিছিল শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় এলাকা। নেতাকর্মীদের ভিড়ে এ সময় মাঝেমাঝেই খুলনা-যশোর মহাসড়কে যান চালাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে সমস্ত সময় পুলিশ ছিল ততপর।
কর্মসূচিতে পুলিশী বাঁধার তীব্র সমালোচনা করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, জনগনের ট্যাক্সের টাকায় আপনারা ইউনিফর্ম পরেন। সরকারের পেটোয়া বাহিনীর মতো আচরণ করবেন না। সারা দেশে আমি সহ ৩৫ লাখ বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আমরা যদি সিদ্ধান্ত নেই, আগামীকাল থেকে আর আদালতে যাবোনা, রাজপথে মোকাবেলা করবো, তখন কিন্ত শরীরের ইউনফির্ম রক্ষা করতে পারবেন না।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অভিযোগ করেন, যে আদর্শ উদ্দেশ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল তার সবকিছু আজ ভূলুন্ঠিত হয়েছে। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কান্নাকাটি করে, কিন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে জানেনা। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌছেছে যে দেশের অনেক মানুষ এখন দুই বেলা খেতে পারছেনা। বাজারে জিনিসপত্রের গায়ে হাত দেওয়া যায়না। শ্রীলংকার পরিণতির দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ, অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই সরকারের লুটেরা মন্ত্রী এমপিরা দেশের সম্পদ লুট করে কানাডার বেগমপাড়ায় পাঠাচ্ছেন।
খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম জিয়ার সভাপতিত্বে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য খান রবিউল ইসলাম রবি, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য আলহাজ রকিবুল ইসলাম বকুল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, এস এ রহমান বাবুল, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, শেখ তৈয়েবুর রহমান প্রমুখ। থানা সাংগঠনিক কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজী মিজানুর রহমান, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, শেখ আব্দুস সালাম ও আলমগীর হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।