বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পবিত্র রমজান ও বাংলা নববর্ষ -১৪২৯ উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে থাকছে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন।
এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে এ আয়োজনের খরচের তিন লাখ টাকার একটি চেক হল শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার হাতে হল প্রভোস্ট তুলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে হল প্রভোস্ট ও ছাত্রলীগের ওই দুই নেতা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষক ও হল ছাত্রলীগের একটি গ্রæপ অভিযোগ করে, গত রোববার নিজের কার্যালয়ে ডেকে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদার ও সম্পাদক মিশাত সরকারের হাতে তিন লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেন হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. মজিবুর রহমান।
অভিযোগকারীরা গণমাধ্যমকে বলেন, পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলেই খাবারের আয়োজন রয়েছে। অন্য হলে এ আয়োজন করছে প্রশাসন। এসএম হলে নিয়ম লঙ্ঘন করে আয়োজনের খরচ ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে হল প্রাধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট আবাসিক শিক্ষকেরা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনায় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।
চেক তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন এসএম হলের আবাসিক শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ বেলাল হোসেন। ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে চেক তুলে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। তবে তাঁর দাবি, হল প্রভোস্টের নেতৃত্বেই খাবারের আয়োজনটি হচ্ছে। ছাত্রলীগ থাকবে প্রশাসনের সহযোগী হিসেবে।
তিনি বলেন, যেহেতু মান ভালো, তাই আমরা ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) ক্যানটিন থেকে খাবার আনাচ্ছি। তাঁদের (তানভীর-মিশাত) হাতে চেকটা দেওয়া হয়েছে শুধু টাকাটা আইবিএতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য, অন্য কিছু নয়। তাঁরা টাকাটা পৌঁছে দিয়েছেন। আয়োজনের দায়িত্ব ছাত্রলীগকে দেওয়া হয়েছে, এটি সঠিক নয়।
এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদারের দাবি, হল প্রভোস্ট তাঁদের কোনো চেক দেননি। তিনি বলেন, আয়োজনের শৃঙ্খলার দায়িত্বটা আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমাদের কোনো চেক দেওয়া হয়নি। হল প্রশাসন আমাদের কেন চেক দেবে? আমরা কি হলের প্রাধ্যক্ষ, নাকি আবাসিক শিক্ষক?
আবাসিক শিক্ষক মুহাম্মদ বেলাল হোসেনের বক্তব্যের বিষয়ে তানভীর সিকদার বলেন, খাবারের দাম পরিশোধের দায়িত্ব শিক্ষকদের। আবাসিক শিক্ষক কী বলতে চেয়েছেন, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
মিশাত সরকার বলেন, খাবার বিতরণে যেন কোনোরকম ঝামেলা না হয় এবং খাবারের মান যেন ভালো হয় সেসব বিষয়ে দেখভাল করার জন্য হল কতৃপক্ষ আমাদের অনুরোধ করেছেন এবং আমরা তাতে সাই দিয়েছি। এছাড়া এখানে আর কোনো বিষয় নেই। আবাসিক শিক্ষক বেলাল হোসেনের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওনার বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভূয়া।
এসএম হলের প্রভোস্ট মো. মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের আবাসিক শিক্ষক মুহাম্মদ বেলাল হোসেনের তত্ত¡াবধানে আয়োজনের সবকিছু চলছে। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ছাড়া তো তাঁরা পারবেনও না। বেলালের অনুমোদন ছাড়া কোনো অর্থ ছাড় হবে না। আমি তাঁদের (ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) হাতে কোনো টাকা দিইনি। টাকা তুলে দেওয়া প্রভোস্টের কাজ নয়। শিক্ষক মুহাম্মদ বেলাল হোসেনের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, বেলাল হয়তো বিষয়টি গুছিয়ে বলতে পারেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।