Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ডিএসসিসির তিন মার্কেটে দোকান বরাদ্দের লটারি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

 ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১, ঢাকেশ্বরী রোড সাইড মার্কেট এবং গোলাপবাগ মাঠ দর্শক গ্যালারি মার্কেটে দোকান বরাদ্দের লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ মাঠ নির্মাণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ ব্যবসায়ীকে ঢাকেশ্বরী রোড সাইড মার্কেটে দোকান বরাদ্দের লক্ষ্যে একই সাথে লটারি অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

গোলাপবাগ মাঠ দর্শক গ্যালারী মার্কেটে ৪৩টি দোকান এবং ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১ এ ৮২টি দোকান বরাদ্দের পাশাপাশি বাংলাদেশ মাঠ দর্শক গ্যালারী মার্কেটটির আধুনিকায়নের ফলে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ জন ব্যবসায়ীকে স্থানান্তরসহ ঢাকেশ্বরী রোড সাইড মার্কেটে মোট ৬২টি দোকান বরাদ্দের লক্ষ্যে লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ বলেন, জটিলতা নিরসন করে দীর্ঘদিন পরে আমাদের তিনটি মার্কেটের দোকান বরাদ্দ দেয়ার লক্ষ্যে লটারির আয়োজন করা হয়েছে। লটারির বিপরীতে যারা দোকান বরাদ্দ পেয়েছেন দ্রæত তাদেরকে দোকান বুঝিয়ে দেবো। তারা সহসা দোকান বুঝে নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করতে পারবেন। করপোরেশন এখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোকান বরাদ্দ, জামানতের অর্থ ফেরত দেয়া এবং মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে নীতিগতভাবে দৃঢ় প্রত্যয়ী।

ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-১ এ ২০০৪ সালে ৮২টি দোকান বরাদ্দের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে ৮২টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। তা অস্বাভাবিক মনে হলে করপোরেশন আবারও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ফলে দোকান মালিকরা করপোরেশনের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে রিট আবেদন করেন এবং হাইকোর্ট করপোরেশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও সংক্রান্ত কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে।

পরবর্তীতে ৮২ জন দোকান মালিক যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তাদের দোকানগুলো বুঝে নেয়। ফলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়ায় সেই দোকানগুলো দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগ দখল করতে থাকে এবং দোকানগুলো হতে করপোরেশন রাজস্ব আয় বঞ্চিত হতে থাকে। এমতাবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র রিট আবেদনটি খারিজের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং সেসব দোকান বরাদ্দে যথাযথ ও আইনত বৈধ পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দেন।

লটারি বরাদ্দ অনুষ্ঠানে বরাদ্দগ্রহীতাগণ, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর শিরিন গাফফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ