বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ায় ঘুষ নেওয়ার অপরাধে চুয়াডাঙ্গার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলমকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের বিনাশ্রম কারাদÐ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সাজাপ্রাপ্ত মাহমুদ আলম কুষ্টিয়া ছয় রাস্তার মোড় থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যশোর ডিভিশনের আওতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ করার জন্য মেসার্স এম এম কামাল এন্টারপ্রাইজসহ আরও ১০টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। তাদের পক্ষে ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম কাজ করেন। তিনি ৪৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকার সরকারি কাজ সম্পন্ন করেন। ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদ আলম ছয়টি পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের জন্য দরখাস্ত করার সময় ঠিকাদার খাইরুল ইসলামের কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরবর্তীতে ওই টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিলে অভিযোগকারীকে ছয়টি পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের জন্য দরখাস্তে মেমো নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রæতির কথা বলেন মাহমুদ আলম। ২০১৫ সালের ৭ জুলাই ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর প্রধান কার্যালয় ঢাকার অনুমোদনক্রমে দুদক বরাবর সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট ঠিকাদার খাইরুল ইসলামের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় মাহমুদ আলমকে আটক করে উপ-পরিচালক আব্দুল গাফফারের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম। এ ঘটনায় দুদকের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে স্বাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।