Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে ইউএনএইচসিআর-এর এ্যাম্বুলেন্স প্রদান

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২২, ৫:৪৫ পিএম

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কর্তৃক কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের জরুরী মূমুর্ষ রোগী পরিবহণের জন্য ১টি নতুন এ্যাম্বুলেন্স প্রদান করে। এ উপলক্ষে ১১ এপ্রিল সোমবার
ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার প্রধান কার্যালয়ে এ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ইউএনএইচসিআর এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পাবলিক হেলথ অফিসার ডা. এম. এম. তাইমুর হাসান, এডমিন অফিসার জাস্টিন লেম্পাকা, প্রোগ্রাম মনিটরিং অফিসার অনিতা থাম, সিনিয়র লিয়াজো এসোসিয়েট ইখতিয়ারুদ্দিন মো. বায়েজিদ, এডমিন এসোসিয়েট ওয়াসিম কবির, প্রোগ্রাম এসোসিয়েট মো. আতিকুর রহমান, সিনিয়র প্রোগ্রাম এসিসটেন্ট এনামুল হক, সিনিয়র এডমিন এসিসটেন্ট মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স এর মহাপরিচালক ও কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের সাধারন সম্পাদক শিক্ষাবিদ এম. এম. সিরাজুল ইসলাম, হাসপাতালের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. কামাল উদ্দিন, অর্থ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।

ইউএনএইচসিআর এর কর্মকর্তারা কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক এম এম সিরাজুল ইসলামের হাতে গাড়ির চাবিটি বুঝিয়ে দেন।

এ্যাম্বুলেন্স গ্রহণ করে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স এর মহাপরিচালক এম. এম. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইউএনএইচসিআর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক ও মানবতার পক্ষে কাজ করা একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালও মানবসেবায় আত্ম নিবেদিত একটি বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতাল। ইউএনএচিসিআর প্রদত্ত এ্যাম্বুলেন্সটি বায়তুশ শরফ হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতিতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। বায়তুশ শর হাসপাতাল অসহায়-দরিদ্র, ছিন্নমূল বিশেষ করে বল পূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চক্ষু চিকিৎসা, শিক্ষা, পূণর্বাসন, আর্থ সামজিক উন্নয়ন ও মানব সেবায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। বায়তুশ শরফের এই মহৎ কাজে ইউএনএইচসিআর অতীতের ন্যায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এজন্য আমরা কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের পক্ষ থেকে ইউএনএইচসিআর এর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
তিনি বলেন, আমি আশা করি অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও ইউএনএইচসিআর এর সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও বেগবান হবে। ইউএনএইচসিআর এর পাবলিক হেলথ অফিসার ডা. এম. এম. তাইমুর হাসান বলেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতাল দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় জনসাধারনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির চক্ষু চিকিৎসা সেবায় অনন্য অবদান রেখে চলেছে।
কক্সবাজার এর স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও মানবসেবায় ইউএনএইচসিআর ও বায়তুশ শরফ একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এধরনের কর্মকান্ড আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইউএনএইচসিআর এর এডমিন অফিসার জাস্টিন লেম্পাকা বলেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতাল দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় জনসাধারনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির চক্ষু চিকিৎসা, শিক্ষা, পূণর্বাসন ও আর্থ সামজিক উন্নয়নে ইউএনএইচসিআর এর সাথে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে জেনে আমি অতন্ত খুশি হয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এ ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে তিনি কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্স পরিদর্শণে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ইউএনএইচসিআর এর সিনিয়র পিঁয়াজো এসোসিয়েট ইখতিয়ারুদ্দিন মো. বায়েজিদ বলেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতাল ও ইউএনএইচসিআর মানবতাবাদী সংস্থা হিসেবে দীর্ঘদিন এতদাঞ্চলের অসহায়-দরিদ্র চক্ষু রোগীদের চিকিৎসা ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আমাদের এই আন্তরিকতা ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ