পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীসহ সারাদেশে গত টানা চার সপ্তাহে করোনাভাইরাসের সব সূচকে (নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, মৃত্যু ও সুস্থতা) নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহে অর্থাৎ ইপিডেমিওলজিক্যাল ১৪তম সপ্তাহে (৪ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত) করোনায় মৃত্যু ৭৫ শতাংশ কমেছে। একই সময়ে নমুনা পরীক্ষা ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ, শনাক্ত ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সুস্থতা ১০ দশমিক ১ শতাংশ কমে। এ সময়ে ৪৩ হাজার ৩০৫টি নমুনা পরীক্ষা, নতুন ২৯৫ জন শনাক্ত, আক্রান্তদের মধ্যে ৫ হাজার ১৩০ জন সুস্থ এবং মৃত্যু হয়েছে একজনের।
এর আগের ইপিডেমিওলজিক্যাল ১৩তম সপ্তাহে (২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত) করোনায় মৃত্যু ৩০০ শতাংশ কমে। একই সময়ে নমুনা পরীক্ষা ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ, শনাক্ত ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সুস্থতা ২২ দশমিক ২ শতাংশ কমে। ওই সময়ে ৫৬ হাজার ৯২০টি নমুনা পরীক্ষা, ৪৮৮ জন শনাক্ত, ৫ হাজার ৭০৬ জন সুস্থ এবং চারজনের মৃত্যু হয়। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফহতরের করোনা সম্পর্কিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইপিডেমিওলজিক্যাল ১২তম সপ্তাহে (২১ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ) ৬৯ হাজার ৭১৯টি নমুনা পরীক্ষা, ৬৭৩ জন রোগী শনাক্ত, ৭ হাজার ৩৩৩ জন সুস্থ এবং একজনের মৃত্যু হয়। শতাংশের হিসাবে নমুনা পরীক্ষা ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ, শনাক্ত ৪০ দশমিক ১ শতাংশ, সুস্থতা ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মৃত্যু ছিল ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
ইপিডেমিওলজিক্যাল ১১তম সপ্তাহে (১৪ মার্চ থেকে ২০ মার্চ) ৮০ হাজার ৪৯৮টি নমুনা পরীক্ষা, ১ হাজার ১২৩ জন রোগী শনাক্ত, ৯ হাজার ৫৮৫ জন সুস্থ এবং ৬ জনের মৃত্যু হয়। শতাংশের হিসাবে নমুনা পরীক্ষা ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ, শনাক্ত ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ, সুস্থতা ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং মৃত্যু ছিল ৭৬ দশমিক ৯ শতাংশ। সর্বশেষ ১৪তম সপ্তাহের প্রথম দিন, অর্থাৎ গত ৪ এপ্রিল মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনা প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ নিয়েছিলেন।
রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ও বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। ফলে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১২৪ জনে। একই সময়ে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৪ জন। এসময় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৯০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ২৩০ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৮৭৯টি ল্যাবরেটরিতে ৬ হাজার ৩৩৬টি নমুনা সংগ্রহ ও ৬ হাজার ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৯৪ হাজার ৪১৩টি। নমুনা পরীক্ষার হিসেবে শনাক্তের হার শূণ্য দশমিক ৭১ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৫৯৪ জন ও নারী ১০ হাজার ৫৩০ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।