Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আম চাষিদের রঙিন স্বপ্ন এখন মলিন

প্রতিকুল আবহাওয়ায় লালপুরে ফলন বিপর্যয়

মো.আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর (নাটোর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

উত্তরাঞ্চলের অন্যতম নাটোরের লালপুর উপজেলায় গত কয়েক বছরে আমের বাগান বেড়েছে ব্যাপক হারে। বিপুল পরিমাণ জমিতে আমের বাগান গড়ে উঠলেও গত দুই বছর আমের কাঙ্খিত দাম না পাওয়া লোকসান গুনতে হয়েছে এই অঞ্চলের আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের। এবার আমের মুকুল আসার সময় বৃষ্টি হওয়ায় অধিকাংশ গাছেই মুকুলের পরিবর্তে দেখা দিয়েছে কচি পাতা। অপরদিকে আমের গুটি আশা সময় অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপদাহের প্রকপে গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে গেছে। এক নিমেশেই মলিন হয়ে গেছে আম চাষিদের বুকভরা স্বপ্ন। ফলে প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে চলতি মৌসুমে এই উজেলায় আমের ফলন বিপর্র্যয় হবে বলে জানিয়েছেন আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, ‘উপজেলায় ১ হাজার ৮শত ৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে আম বাগান গুলিতে ৭০ শতাংশ মুকুল হয়েছিলো। এই সকল জমি থেকে হেক্টর প্রতি ১৫ মেট্রিকটন হিসেবে ২৭ হাজার ৭৫ মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধিারণ করেছে কৃষি বিভাগ। তবে প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে এবার আম ব্যবসায়ী ও চাষীরা কৃষি অফিসের নির্ধারিত লক্ষমাত্রার চেয়ে আমের ফলন কম হবে এবং গত বছরের চেয়ে এবার আমের দাম বৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছেন।’
আম চাষী মোস্তফা বায়েজিদ কাদের জানান, ‘বিভিন্ন জাতের ৪বিঘা আমের বাগান আছে তার। এবার মৌসুমের শুরুতে দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় আম বাগানের প্রায় গাছেই মুকুলের পরিবর্তে কচি পাতা এসেছে। যে সকল গাছে মুকল এসেছিলো তাও পরবর্তিতে অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরায় আমের সব গুটি ঝরে যাচ্ছে। যে বাগানের আম ২০ মন আম হতো এখন সেই বাগানের ২মন আমও হবে না। আম বিক্রয় করে লাভ তো দূরের কথা এবার তার অনেক লোকসান হবে বলে জানান তিনি।’
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন,‘আমের চাষটা সম্পূর্র্ণ আবহাওয়ার উপরে নির্ভর করে। তবে জাতভেদে অল্টারনেট বিয়ারিয় বৈশিষ্টর কারনেও আমের ফলন কম বেশি হয়। এবার প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে আমের ফলন কিছুটা কম হতে পারে। তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে আম বাগনে নিয়মিত সেচ ও ছোট আম গাছ গুলিতে পানি স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টি হলে আমের গুটি ঝরা বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ