Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩ বছর পর শিশু দ্বীন ইসলাম হত্যার রহস্য উন্মোচন

খুলনা ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

খুলনার তেরখাদায় কিশোর দ্বীন ইসলাম হত্যার রহস্য তিন বছর পর উম্মোচন করেছে পিবিআই। সাঁতার প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে কাঁদা ছুড়াছুঁড়ির কারণে তাকে হত্যা করা হয়ে। হত্যাকাণ্ডের মূলরহস্য উন্মোচন ও আসামিদের গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গতকাল রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই খুলনার এসপি সৈয়দ মুশফিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিহত দ্বীন ইসলাম তেরখাদার লস্কর গ্রামের আজিজুর রহমান শেখের ছেলে। সে এলাকার বিভিন্ন খালে বিলে মাছ ধরে এবং স্থানীয়ভাবে এলাকার বিভিন্ন স্থানে মৌসুমী ফল বিক্রি করতো। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুপুরে দ্বীন ইসলামকে কোথাও খুঁজে না পাওয়া গেলে তাকে পাওয়ার জন্য মাইকে প্রচারসহ বিভিন্ন জায়গায় তার আত্বীয়-স্বজন খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে তার লাশ তেরখাদা মুলিশিয়া খালে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আজিজুর রহমান তেরখাদা থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এটি হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হলে নিহতের পরিবার মামলা করতে না চাইলে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করে।
নিহত দ্বীন ইসলামের পিতা আজিজুর রহমান শেখ ন্যায় বিচারের স্বার্থে পরবর্তীতে আদালতে আবেদন করলে আদালত মামলাটি পিবিআই খুলনায় প্রেরণ করেন। পিবিআই ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর মামলাটি তদন্তভার গ্রহণ করে। মামলাটি নিরবিচ্ছিন্ন তদন্ত করে প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করা হলেও আসামীরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের ওই সময় গ্রেফতার সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম থেকে তেরখাদার লস্করপুর এলাকার মো. কালন শেখের ছেলে মো. মুছা শেখ ও এমলাক শেখের ছেলে মো. হানিফ শেখ ওরফে রমজান শেখকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে আসামিরা বলেছে, ঘটনার দিন মুছা শেখ, রমজান শেখ, তেরথাদার লস্কর গ্রামের মোঃ আলাল সরদারের ছেলে ইতার আলী সরদার (২৪), মোঃ সিদ্দিক শেখের ছেলে ফেরদৌস শেখ (২৪), আলাল সরদারের ছেলে হানিফ সরদার (২১) মুলিশিয়া খালে গােসল করার সময় সাঁতার প্রতিযােগিতার জয় পরাজয় নিয়ে বিরােধ হলে তারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে দ্বীন ইসলাম পানিতে ডুবে যায়। এ অবস্থায় তারা পালিয়ে যায়। শিগগিরই আদালতে পূর্নাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন পিবিআই এসপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ