Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সালথায় ফের আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০০ এএম

ফরিদপুরের সালথায় ফের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত ১৫টি বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের অনেককেই বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অনেক কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার রাতে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খারদিয়া গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষচলাকালে অন্তত ১৫টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য দলাদলি ও স্থানীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. রফিকুল ইসলাম রফিক মোল্লার সাথে যদুনন্দী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
তারই সূত্র ধরে শনিবার রাতে রফিকের এর সমর্থক আমিনুর রহমান উপর অতর্কিত হামলা চালায় আলমগীর মিয়ার সমর্থকেরা। এতে গুরুতর জখম হয় আমিনুর রহমান। পরে স্থানীরা আমিনুর রহমানের মৃত্যুর খবর গুজব ছড়িয়ে এলাকায় মুহুর্তের মধ্যে উভয় গ্রুপের শতশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভেলা, শরকি, রামদা, টেটা ও ইটের টুকরো নিয়ে স্থানীয় মাঠের মধ্যে জড়ো হয়ে রাতেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। চলে ৪ ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া বসতবাড়ি ভাঙচুর লুটপাট। পরে এ সংঘর্ষে আশপাশের গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নেয়। সংঘর্ষের সময় ১৫টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে উত্তেজিত সংঘর্ষকারীরা। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে ও হামলায় সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বাকীদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সহকারি পুলিশ সুপার( নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল সুমিনুর রহমান জানান, গতকাল সন্ধায় খারদিয়া বাজারে রফিক চেয়ারম্যানের সমর্থক আমিনুল নামের এক লোককে মারধর করা করে আলমগীর মিয়ার লোকজন। এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকায় এখন শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ