কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে মোরশেদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহত মোরশেদ বলীর ভাই জাহেদ আলী। গত শনিবার বিকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় এজাহার নামীয় ২৬ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, পিএমখালীর মাইজপাড়ার কবির আহমদের ছেলে আব্দুল মালেক ও কলিম উল্লাহ, মনির আহমদের ছেলে মো. আলি প্রকাশ মোহাম্মদ, মাহামুদুল হক, হাবিব উল্লাহর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, কাঠালিয়া মোরা ঘোনার পাড়া এলাকার শফিউল আলমের ছেলে মতিউল ইসলাম প্রকাশ ভুয়া সাংবাদিক, শফিউল আলমের ছেলে তাহেরুল ইসলাম, ফজল আহমদের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং এমইউপি আরিফ উল্লাহ, মৃত মনির আহমদের ছেলে ছৈয়দুল হক, হামিদুল হক, তুতুকখালী সিকদার পাড়া এলাকার মোক্তার আহমদের ছেলে এবং ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তাফা আলাল, বদিউজ্জামান সিকদারের ছেলে মো. আক্কাস, মো. আলীর ছেলে মো. শাহীন, বাংলাবাজার এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে জয়নাল আবেদিন, গোলার পাড়ার মো. ইলিয়াসের ছেলে এবং কক্সবাজারের আলোচিত কথিত পাওয়ার আলীর ভাই মাহামুদুল করিম, দিদারুল আলম, বশির আহমদের ছেলে ওমর ফারুক, মাইজপাড়ার মৃত ফোরকান আহমদের ছেলে খোরশেদ আলম, মাহামুদুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ, মাহমুদুল হকের ছেলে আব্দুল আজিজ, আব্দুল হাই, মোহাম্মদের শফিউল আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মনির আহমদের ছেলে ওসমান, নুরুল হকের ছেলে জাহেদুল ইসলাম ও কাঠালিয়া মোড়া শফিউল আলমের ছেলে আজহারুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও ৮-১০জন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ইফতার কিনতে গিয়ে চেরাংঘর বাজারে জনসম্মুখে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন পিএমখালী এলাকার প্রতিবাদী যুবক মোরশেদ। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ঝটিকা অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। তবে মূল হোতা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
এদিকে মামলা থেকে প্রভাবশালী সরকার দলীয় নেতাদের রেহাই দিতে ইতোমধ্যে দেন-দরবার ও তদবির শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে একটি মহল এই তদবির শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।