Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ, পাচ্ছেনা ঔষধ

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:৫২ পিএম

নারায়ণগঞ্জের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর বিছানা আছে ২০টি। সেই ২০টি বিছানার বিপরীতে আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১৩০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এ ছাড়া আজ পর্যন্ত বহির্বিভাগে ডায়রিয়ার সমস্যায় চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছে প্রায় ৩ শতাধিক রোগী। হাসপাতালে বর্তমানে ধারণক্ষমতার চেয়ে সাড়ে ছয় গুণ রোগী ভর্তি হয়েছেন।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীরাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাড়তি খরচের চিন্তায় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেও ঔষধ কেনায় ব্যয় হচ্ছে ব্যাপক অর্থ। হাসপাতালে রোগীদের স্যালাইন দেওয়া হলেও প্রয়োজনীয় ঔষধ ফার্মেসী থেকে ক্রয়ের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি হাসপাতাল হওয়া স্বত্তেও ঔষধের বদলে ঔষধের প্রেসক্রিপশন পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর স্বজনেরা।
সরজমিনে জেনারেল হাসপাতলের ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভিতরে ও বাহিরে রোগীর সিরিয়াল কমছেই না। একজন বেড থেকে উঠতেই আরেকজন রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভিতরে জায়গা না হওয়ায় ওয়ার্ডের বাহিরের বেডে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যেসব রোগীদের স্যালাইনের বাহিরে অন্য ঔষধের প্রয়োজন হয়, তাদের ঔষধ প্রেসক্রাইব করা হয়। হাসপাতাল থেকে কোন ঔষধ দেওয়া হয়না।
বন্দরের বাসিন্ধা আশিক। তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা দিতে এসেছেন। ওয়ার্ডের ভিতরে কোন বেড না পেয়ে বাহিরের বেডে তার স্ত্রীর চিকিৎসা করাচ্ছেন। হাতে ঔষধের প্রেসক্রিপশন।
তার সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি প্রেসকিপশন দেখিয়ে বলেন, নার্সেরা একটা স্যালাইন দিছে আর স্যালাইন সহ এই ঔষধগুলো বাহির থেকে কিনে আনতে বলছে। চারশ টাকার ঔষধ আনছি। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাটাই দেয়, ঔষধ সব ফার্মেসি থেকেই কিনে আনা লাগে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডায়রিয়া বিভাগের একজন নার্স এ বিষয়ে বলেন, তীব্র গরমের কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমরা হাসপাতাল থেকে রোগীকে একটা আই বি স্যালাইন দিচ্ছি। কিন্তু ওরস্যালাইন কিংবা অন্য ইনজেকশন বা ঔষধ প্রয়োজন হলে তা বাহির থেকে কিনে আনার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
কারণ দেখিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এসব ঔষধের সাপ্লাই আছে কিন্তু কম। একজন গরিব রোগীকে ঔষধ দিলে আরো দশ জন রোগী চাইবে। তখন না দিতে পারলে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরী হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ