Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারের পিএমখালীতে চাঞ্চল্যকর মোরশেদ হত্যাকাণ্ডে ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২২, ২:৫৬ পিএম

কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে চাঞ্চল্যকর রোজাদার মোরশেদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহত মোরশেদ বলীর ভাই জাহেদ আলী।
শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এ মামলা করা হয়। মামলায় এজাহার নামীয় ২৬ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- পিএমখালীর মাইজপাড়ার কবির আহমদের পুত্র আব্দুল মালেক (৪৫) ও কলিম উল্লাহ (৩২), মনির আহমদের ছেলে মো. আলি প্রকাশ মোহাম্মদ (৪৫), মাহামুদুল হক (৫২), হাবিব উল্লাহর পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), কাঠালিয়া মোরা ঘোনার পাড়া এলাকার শফিউল আলমের পুত্র মতিউল ইসলাম (৩৪) প্রকাশ ভুয়া সাংবাদিক, শফিউল আলমের ছেলে তাহেরুল ইসলাম (৪৬), ফজল আহমদের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং এমইউপি আরিফ উল্লাহ (৩৫), মৃত মনির আহমদের পুত্র ছৈয়দুল হক (৪০), হামিদুল হক (৪০), তুতুকখালী সিকদার পাড়া এলাকার মোক্তার আহমদের পুত্র এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তাফা আলাল, বদিউজ্জামান সিকদারের পুত্র মো. আক্কাস (৪০), মো. আলীর ছেলে মো. শাহীন (২৫), বাংলাবাজার এলাকার ছৈয়দ আহমদের পুত্র জয়নাল আবেদিন (৪৮), গোলার পাড়ার মো. ইলিয়াসের পুত্র এবং কক্সবাজারের আলোচিত কথিত পাওয়ার আলীর ভাই মাহামুদুল করিম (৪০), দিদারুল আলম (৩০), বশির আহমদের ছেলে ওমর ফারুক (৩০), মাইজপাড়ার মৃত ফোরকান আহমদের ছেলে খোরশেদ আলম (৩০), মাহামুদুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩০), মাহমুদুল হকের পুত্র আব্দুল আজিজ (২৮), আব্দুল হাই (২৩), মোহাম্মদের শফিউল আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫), মনির আহমদের ছেলে ওসমান (৩৫), নুরুল হকের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (১৯), কাঠালিয়া মোড়া শফিউল আলমের ছেলে আজহারুল ইসলাম (৩২) সহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০জন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ইফতার কিনতে গিয়ে চেরাংঘর বাজারে জনসম্মুখে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন পিএমখালী এলাকার প্রতিবাদী যুবক মোরশেদ। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ঝটিকা অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করেও মূল হোতারা এখনো ধরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিল্ডিং ভাঙার কাজে ব্যবহৃত বিশালাকার হাতুড়ির প্রথম আঘাতেই মাটিতে পড়ে যান মোরশেদ। ঘটনার আকস্মিকতা উপলব্ধি করতে পেরে হামলাকারীদের বলছিলেন, ‘আমি রোজায় বেশি ক্লান্ত, ইফতারের সুযোগ দাও, মারতে চাইলে ইফতারের পর মারিও।’
কিন্তু রোজাদার বলার আকুতিও তাদের হৃদয় গলেনি। শেষরক্ষা হয়নি মরহুম শিক্ষক ওমর আলীর ছেলে মোরশেদ আলী ওরফে বলী মোরশেদের (৩৮)।
হত্যা কান্ডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বাজার করতে চেরাংঘর বাজারে পৌঁছানোর একটু পর শোরগোল শুনতে পাই। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গেলে পিএমখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন হাজারিকে বলতে শুনি, ‘উপরের নির্দেশে তারে (মোরশেদ) মেরে ফেলা হচ্ছে, কেউ সামনে আসবে না। যারা আসবে তাদেরও অবস্থা খারাপ হবে।

এ সময় আবদুল মালেকসহ ১৫-২০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী মোরশেদকে প্রহার ও কোপাচ্ছিলেন। সবাইকে তদারকি করছিলেন পিএমখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা আলাল।
এদিকে মামলা থেকে প্রভাবশালী সরকার দলীয় নেতাদের রেহাই দিতে ইতোমধ্যে দেন দরবার ও তদবীর শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে একটি মহল এই তদবীর শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ