Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রহ্মপুত্রের স্রোতে পাপ ভাসিয়ে, বাড়ীর উদ্দেশ্যে পূণ্যার্থীরা

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২২, ২:৪৩ পিএম

কুড়িগ্রামের প্রাচীনতম নৌ-বন্দর চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সনাতন ধর্মাবল্বীদের উত্তরবঙ্গের সর্ব বৃহৎ স্নানাৎসব অষ্টমীর স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাত ৯টা ১২ মিনিট থেকে শনিবার (৯ এপ্রিল) রাত ১১টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত স্নানের অষ্টমীর শুভ তিথি থাকলেও শনিবার সকাল চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্নান করার উত্তম তিথি থাকায় অধিকাংশ পূণ্যার্থীরা এই সময়ে স্নান সেরে নেন।

ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান শেষে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন আগত পূণ্যার্থীরা। উত্তরবঙ্গের অষ্টমীর স্নানের জন্য চিলমারীর এই স্থান বিখ্যাত। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পূণ্যার্থীরা এখানে আসেন নিজেদের পাপকে বিসর্জন দিতে। প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্রের ৬ কিলোমিটার পাড় জুড়ে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। স্নানকে ঘিরে বসে মেলাও।

শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অষ্টমীর স্নানকে ঘিরে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন রমনা নৌঘাট থেকে রাজারভিটা,পুটিমারী হয়ে সরদারপাড়া ঘাট পর্যন্ত স্নান সমপন্ন করার জন্য নানা ব্যবস্থা করে।

কয়েক লাখ পুণ্যার্থী স্নান করার উদ্দেশ্যে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে সমাবেত হয়ে ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে তারা নিজেদের স্নান সম্পন্ন করেন। অনেকে নিজেদের পূর্ব-পুরুষদের উদ্দেশ্যে মাথা ন্যাড়া করে পিন্ড দান করেন ।

অষ্টমীর স্নানে অংশ নেয়া রংপুর থেকে আসা ঝুমা পাল বলেন,'এখানে স্নান করার মাধ্যমে আমরা জীবনের পাপকে ধুয়ে পবিত্রতা অর্জন করি। স্রষ্টা এর মাধ্যমে আমাদের অতীতের পাপ থেকে মুক্ত করবেন, এজন্যই এসেছি।'

ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে গাইবান্ধা থেকে আসা আরেক পূণ্যার্থী নির্মলা রানী বলেন,'প্রচুর লোকের সমাগমে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাতে কিছুটা হলেও শৃঙ্খলা বজায় ছিল। তবে অষ্টমীর স্নানের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা হলে আমাদের জন্য ভালো হয়।'

স্থানীয় প্রশাসনের মতে, প্রায় তিন থেকে চার লাখ পুণ্যার্থী সববেত হয়েছেন ব্রহ্মপুত্র তীরে। স্নান ও মেলা এলাকা জুড়ে স্থানীয় প্রশাসন ও কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়। মেলা ও ব্রক্ষপুত্র স্নান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য মেলা স্থলে বসানো হয় কন্ট্রোল রুম। দূর-দূরান্তের পুণ্যার্থীরা যাতে নিরাপদে রাত্রিযাপন করতে পারেন সেজন্য উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের তীর জুড়ে কয়েক লক্ষ পূণ্যার্থীর সমাগম ঘটলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা গতকাল থেকে মেলা ও স্নান সুষ্ঠভাবে সমপন্ন করার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহন করেছি।'



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ