Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ঢল নেমেছে পুণ্যার্থীদের

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২২, ১০:৪৭ এএম

নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পুণ্যস্নান শুক্রবার রাত ৯টা ৫৬ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে। শেষ হবে শনিবার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে। এ উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে লাঙ্গলবন্দে।

স্নান উদ্যাপন কমিটির সভাপতি বাবু সরোজ কুমার সাহা বলেন, এবার যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঘাটগুলোকে সংস্কার করা হয়েছে। এবারের স্নানে ৫ লাখের বেশি পুণ্যার্থী অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ থেকে পুণ্যার্থীরা এসেছেন।
এবার স্নাস হচ্ছে নলিত মোহন সাধু ঘাট, নাসিম ওসমান ঘাট, অন্নপূর্ণা ঘাট, রাজঘাট, মাকরী সাধু ঘাট, গান্ধী (শ্মশান) ঘাট, ভদ্রেশ্বরী কালী ঘাট, জয়কালী মন্দির ঘাট, রক্ষাকালী মন্দির ঘাট, পাষাণ কালী মন্দির ঘাট, প্রেমতলা ঘাট, মণি ঋষিপাড়া ঘাট, ব্রহ্ম মন্দির ঘাট, দক্ষিণেশ্বরী ঘাট, পঞ্চপাÐব ঘাট ও পরেশ মহাত্মা আশ্রম ঘাটে।

রাঙ্গামাটি থেকে আসা মালতী রাণী বলেন, আমি এবার প্রথম এই স্নানে এসেছি। আয়োজন দেখে সন্তুষ্টি। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো। তবে নারীদের কাপড় বদলানোর জায়গা কম বলে জানান।
দেবতা পরশুরাম তাঁর পিতার আদেশে নিজ মাতাকে কুঠার দিয়ে আঘাতে হত্যার দায়ে পাপী হয়ে যান এবং তাঁর কুঠারটি হাতে লেগে যায়। পরে পরশুরাম পাপ মোচনের জন্য হিমালয় থেকে নিজ হাতের কুঠারটি লাঙল বানিয়ে চষে পাহাড়-পর্বত দিয়ে বর্তমান লাঙ্গলবন্দ এলাকায় এসে পৌঁছালে তাঁর হাত থেকে সেটি খুলে পড়ে যায়। তখন তিনি ব্রহ্মপুত্র নদের জলে স্নান করেন। এর পর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের লাঙ্গলবন্দ তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিতি পায়। সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচনের বাসনায় এখানে স্নান করেন।

শুক্রবার বিকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসবে নিরাপত্তার জন্য বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। ৭টি ওয়াচ টাওয়ার করা হয়েছে, সেখানে পুলিশ আছে। সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে, ডিবি পুলিশ আছে, ছাদে পুলিশ আছে, অজ্ঞান পার্টি-মলমপার্টি প্রতিরোধে বিশেষ টিম কাজ করছে, নদীতে টহল টিম কাজ করছে। এক কথায় পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, নিরাপত্তার জন্য ঢাকা রেঞ্জ থেকে ৮০০ সদস্য ও জেলা পুলিশের ৭০০ সদস্য মিলিয়ে মোট ১৫০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ