Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ফি বাতিলের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

জাবি সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৪ এএম

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তু রায়ের আত্মহত্যার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত ফি আদায়কে দায়ী করে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধের ফলে রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর দুপুর একটার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এই সময় তাঁরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নামে-বেনামে আরোপিত সব ধরনের ফি বাতিল করাসহ শিক্ষাক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘রমজানে মানুষের কষ্ট যেন না হয়, সে জন্য মহাসড়ক ছেড়ে দিতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছিলাম। শিক্ষার্থীরা আমার কথা রেখেছে, তারাও তাদের কর্মসূচি শেষ করে নিজ থেকেই অবরোধ উঠিয়ে নেয়।’

এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে ফটকের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
অবরোধ চলাকালে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জাবি শাখার সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, ‘একদিকে এই রাষ্ট্র উন্নয়নের ডামাডোল পেটাচ্ছে অন্যদিকে উন্নয়নের জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে রিকশাচালক জরিমানা দিতে না পেরে আত্মহত্যা করছে আরেকদিকে অতিরিক্ত ফি’র জাঁতাকলে আত্মহত্যা করছে শিক্ষার্থীরা। এই আত্মহত্যার মিছিল রাষ্ট্রের ভংগুরতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। শিক্ষা সবার মৌলিক অধিকার, এটি রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। এই মৌলিক অধিকারের ব্যয় কোনো শিক্ষার্থী বহন করবে না।’

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সামি আল জাহিদ প্রীতম বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ফি শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কুয়েটে অন্তু রায় আত্মহত্যা করেছে, আবার দেখা যাবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়েও আরেকজন আত্মহত্যা করেছে। আশা করব, এই সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্র আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ‘যে হারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফি বাড়ানো হচ্ছে তাতে মেধাবীরা সুযোগ পেলেও পড়তে পারবে না। গত ১৩ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনও অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন হলে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। অন্তু রায়ের মতো আর কোন শিক্ষার্থীর যদি আত্মহত্যার দিকে যেতে হয়, তাহলে আমরা সকলে একসাথে এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। শিক্ষাক্ষেত্রে ফি বাড়ানোর পাঁয়তারা বন্ধ না করলে আইয়ুব-এরশাদের মতো দেশ থেকে পালানোর জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ