বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় ও মোবাইলের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি) নম্বর পরিবর্তনকারী চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, চক্রটি মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করতে পারে। চক্রটি চুরির পর কমপক্ষে ছয় মাস সময় নিয়ে এসব মোবাইল বাজারে ছাড়ে। যাতে ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ব্যক্তি মোবাইলের আশা ছেড়ে দেন কিংবা পুলিশের হাতে ধরা না পড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিন যুবকের মধ্যে হাবীবুল্লাহ মিজবাহ ইতোপূর্বে একটি মোবাইল কোম্পানির সার্ভিসিং বিভাগে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তনের অবৈধ কাজে নামেন। আগে আটক হওয়া চক্রগুলোর সঙ্গে নতুন এ চক্রের সদস্যদের যোগসাজশ আছে কি না সেটা তদন্ত করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার চট্টগ্রামের রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে মো. সাজ্জাদ নামে একজনকে ৫টি মোবাইলসহ আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ জানান, মোবাইলগুলো চোরদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন তিনি। এরপর তিনি মোবাইলগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতেন।
তিনি বলেন, সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, কোতোয়ালি থানার সিডিএ মার্কেটের রয়েল প্লাজার ইনোভেটিভ ফোন কেয়ারের মালিক হাবিবুল্লাহ মিসবাহ ও তার কর্মচারী রাশেদের কাছ থেকে তিনি মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে আনেন। পরে অভিযান পরিচালনা করে হাবিবুল্লাহ ও রাশেদকে আটক করা হয়। অভিযানে ১১৭টি মোবাইল, ৩টি ল্যাপটপ, ২টি মাউস, ১টি ইউএসবি হাব জব্দ করা হয়। পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে হাবিবুল্লা জানান, তিনি কোনো মোবাইল বিক্রেতা নন। মূলত চোরাই মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর টাকার বিনিময়ে পরিবর্তন করেন তিনি। পরবর্তীতে চুরি হওয়া মোবাইলগুলো বিভিন্ন শপিং সেন্টারে পুনরায় বিক্রি করেন।
তিনি আরও বলেন, হাবিবুল্লাহ তার ব্যবহৃত ল্যাপটপের মাধ্যমে বিভিন্ন সফটওয়্যার ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সহায়তায় চোরাই মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বর অনেক দিন ধরেই পরিবর্তন করে আসছিলেন। এছাড়া আটক দুইজনও এ চক্রের সঙ্গে জড়িত। পুলিশ জানিয়েছে, চোরাই মোবাইলগুলো রিয়াজউদ্দিন বাজার তামাকুমন্ডি লেনের চৌধুরী ডট কম নামে দোকানের মালিক জয় চৌধুরীসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী কম দামে কিনেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য হাবিবুল্লাহর কাছ থেকে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে আনেন। আইএমআই নম্বর পরিবর্তনের পর জয় চৌধুরীসহ অন্য ব্যবসায়ীরা বেশি দামে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে এসব ফোন বিক্রি করতেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।