পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রামাযান মাস কেন্দ্রীক এমন অনেক আমল আছে, যেগুলোর ফযীলত অপরিসীম। সেইসব আমল সম্বলিত হাদীসগুলোও এ মাসের সম্মান ও মর্যাদা অনেকগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (স.) লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন আর রামাযান মাসে যখন জিবরীল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি আরো অধিক দানশীল হয়ে যেতেন। জিবরীল (আ.) রমাযানের প্রতি রাতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, তখন আল্লাহর রাসূল (স.) তাঁকে কুরআন পাঠ করে শোনাতেন। আল্লাহর রাসূল (স.)-এর সঙ্গে যখন জিবরীল (আ.) দেখা করতেন, তখন তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য পাঠানো বাতাসের চেয়েও বেশি দানশীল হয়ে যেতেন। (সহীহুল বুখারী হা : ৬) জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (স.) বলেছেন, রামাযান মাসের প্রতিটি দিবস ও রজনীতে আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন এবং মুসলিম ব্যক্তির প্রতিটি দু’আ (যা সে রামাযান মাসে করে থাকে) কবুল করা হয়। (মুসনাদে বায্যার হা : ৩১৪১, মাযমাউয যাওয়াইদ, ১৭২১৫)
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, রাসূল (স.) এক আনসারী মহিলাকে বললেন, যাকে উম্মু সিনান বলা হয়, তুমি কেন আমাদের সাথে হজ্জ করতে যাওনি? তিনি বললেন, আমাদের পানি বহনকারী দুটি মাত্র উট রয়েছে। একটিতে আমার ছেলের বাবা (আমার স্বামী) ও তাঁর ছেলে হজ্জ করতে গিয়েছেন, অন্যটি পানি বহনের জন্য আমাদের কাছে রেখে গিয়েছেন। তিনি বলেন, রামাযান মাস এলে তুমি ওমরা করবে। কেননা এ মাসের ওমরা একটি হজ্জের সমতুল্য। সহীহ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, রসূলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, রামাযান মাসের ওমরাহ একটি হজ্জের সমতুল্য। অথবা বলেছেন, আমার সাথে একটি হজ্জের সমতুল্য (সওয়াবের হিসাবে)। (সহীহ বুখারী হা : ১৭৮২, সহীহ মুসলিম হা : ১২৫৬,)
আবূ হুরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল (রা.) বলেছেন : যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রামাযান মাসে রোযা রাখবে, তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী হা : ১৯১০ও সহীহ মুসলিম হা : ১৮১৭)
আমরা পবিত্রতম মাস রামাযানে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি কুরআন তিলাওয়াত, দান-খয়রাত ও অন্যান্য নেক আমল বেশি করার চেষ্ট করি। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন, আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।