পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন: ‘রামাযান মাস, যাতে অবতীর্ণ করা হয়েছে মানব জাতির পথ প্রদর্শক হেদায়াতের উজ্জ্বল নিদর্শন এবং (হক ও বাতিলের) প্রভেদকারী আল কুরআন। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন সিয়াম রাখে, আর যে ব্যক্তি অসুস্থ অথবা মুসাফির সে অন্য সময় এ সিয়াম রাখবে। তোমাদের পক্ষে যা সহজ আল্লাহ তাই চান এবং তোমাদের পক্ষে যা কষ্টকর তা তিনি চান না। আর তোমরা যেন নির্ধারিত সংখ্যা পূরণ করে নিতে পার এবং তোমাদেরকে আল্লাহ যে হেদায়াত দান করেছেন সে জন্য আল্লাহর মহত্ব বর্ণনা কর এবং যেন তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর;। (সূরা বাকারাহ আয়াত: ১৮৫) রামাযান মাসেই অবতীর্ণ হয়েছে কুরআন। আল্লাহ তা‘আলা সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ রাসূল মুহাম্মদ (স.)-এর ওপর অবতীর্ণ করেন কুরআনুল কারীম। সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) বলেন, সর্বপ্রথম রামাযান মাসে কদরের রাত্রিতে প্রথম আসমানে সম্পূর্ণ কুরআন একত্রে নাযিল হয়, অতঃপর প্রথম আসমান হতে দীর্ঘ ২৩ বছরে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে রাসূল (স.)-এর কাছে কুরআন অবতীর্ণ হয়। কুরআন সমগ্র মানব জাতির জন্য হেদায়াতস্বরূপ, অতএব মানুষ হেদায়াত পেতে চাইলে বছরের বার মাসই কুরআন তিলাওয়াত, শিক্ষা-গবেষণা ইত্যাদি কুরআনী চর্চা নারী পুরুষ সকলেরই অবশ্যই থাকতে হবে। কারণ যার মাধ্যমে আমি হেদায়াত পাব তাকেই যদি ভুলে যাই তাহলে পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে রামাযান মাস হলো কুরআন চর্চার অন্যতম মাস, নাবী (স.) নিজেও এ মাসে তুলনামূলক বেশি কুরআন চর্চা করতেন, আমাদেরও সে পথেই অগ্রসর হওয়া উচিত।
আসুন আমরা যেন কুরআন নাযিলের মাসে বেশি বেশি কুরআনের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কুরআন সুন্নাহর আলোকে জীবন গড়ার প্রয়াস চালাই। কুরআন ও রামাযানের সাথে সম্পর্ক গভীর করে আখিরাতের কঠিন দিনে কুরআন ও রামাযানের সুপরিশ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনে চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফীক দান করুন। আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।