বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রতিদিন উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্প ছেড়ে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে দালাল ও সন্ত্রাসীরা। ক্যাম্প থেকে পালানো রোহিঙ্গারা আটকও হচ্ছে পুলিশের হাতে। গতকাল বুধবার পালানোর সময় ১২৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। এ নিয়ে গত চারদিনে নারী-শিশুসহ ৬০০ জন রোহিঙ্গা পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৮ জন নারীও রয়েছে। উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন বলেন, আটক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মানবপাচারের জড়িত থাকার অপরাধে ৬ জনকে আটক করে মামলা রুজু করা হয়েছে। পলাতক আছে আরো ৭-৮ জন। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, এর আগে গত মঙ্গলবার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় উখিয়া স্টেশনের আশপাশে অভিযান চালিয়ে ৮০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে এসব রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়।
একইভাবে ৪ এপ্রিল ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় উখিয়া থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৮৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ৬ দালালকে আটক করে। একইদিনে টেকনাফ থানা পুলিশ ৫০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে। এছাড়াও ২১ মার্চ কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার থেকে ১০০ রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। ২৫ মার্চ টেকনাফের বাহারছড়া উপকূল থেকে ৫৪ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ শিশুকে আটক করা হয়।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের আশ্রয় দিলেও এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। রহস্যজনক কারণে ক্যাম্প প্রশাসন এবং যারা তদারকি করছে (দেশি-বিদেশি এনজিওগুলো) নিজেরা বোঝাপড়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণে সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। ৮-এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরান হোসেন জানিয়েছেন, ক্যাম্পের কিছু কিছু স্থানে কাটাতার নষ্ট হয়ে গেছে। সেই ফাক-ফোকর দিয়ে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে। এসব কাটাতার সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এনজিও এবং খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম কাটাতারের বাইরে হওয়াতে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন স্থানে যাওয়া-আসা করা সহজ হচ্ছে। তারপরও কাটাতারের বাইরে আমাদের হাতে আটক রোহিঙ্গাদের নিয়মিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তি প্রদাণের ব্যবস্থা করা হয় বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।