Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দীর্ঘ ৪০ বছর পর জীন খাল অবমুক্ত

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২২, ৭:৫৬ পিএম

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৪০ বছর পর শত বছরের জীন খাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুর তিনটায় কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক সংলগ্ন এলাকায় এ উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাকিবুল আহসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার ও ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খাইরুল হাসনাত খালিদ। এছাড়া এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ এলাকার জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এ খাল উদ্ধার অভিযান শুরুর পরই জনমনে দেখা গেছে স্বস্তির নি:শ্বাস।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৮০ এর দশকে রবিন্দ্রনাথ দাস নামের এক ব্যক্তিকে ভ‚মি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে ওই খাল বন্দোবস্ত দেয়। সর্বশেষ বিএস জরিপকারীরা বাস্তবের খালকে ব্যক্তিগত নাল জমি দেখিয়ে আরেক দফা চরম দুর্নীতি করে। পরে রবিন্দ্রনাথ দাস এ খালটিকে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের কাছে কিছু অংশ বিক্রি করে দেন। পরে বাঁধ নির্মাণের ফলে প্রবহমান খালটিতে পানি ওঠা নামা বন্ধ হয়ে যায়। এর পর গত ৩ মার্চ কলাপাড়া শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়কে খালটি উদ্ধারে মানববন্ধন করে টিয়াখালী ইউনিয়নের হাজারো কৃষক। এতে টনক নড়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। পরে আজ উদ্ধার অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন।

পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের টিপু মৃধা জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে এ খালটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে ভূমিদস্যুরা। এখানে আমাদের শৈশবের অনেক স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে। আজ খালটি প্রায় মৃত। তবে খালটি উদ্ধার হওয়ায় আমরা অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছি। পৌর শহরের অপর বাসিন্দা কবির মৃধা জানান, খালটি বন্ধ থাকায় মশার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এ পৌরসভা। খালটি অবমুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মশার অভয়াশ্রমও ধ্বংস হলো। আমরা উপজেলা প্রশাসনকে অনেক অনেক স্বাদুবাধ জানাই।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, খালটি পুরোপুরি উদ্ধার করা হবে। শুধু এই জীন খালই নয়। পর্যায়ক্রমে এই উপজেলার সকল খাল দখল মুক্ত করা হইবে।

কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রাকিবুল আহসান জানান, প্রায় ৪০ বছর পর খালটি অবমুক্ত হলো। এ খালটি সংস্কারের মাধ্যমে জোয়ার ভাটার প্রবহমান পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে আর যাতে কেউ এই খাল বন্দোবস্ত না নিতে পারে সে ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আশা করছি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ