বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুর জেলার সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নে ডোবারচর বাজারে পূর্বশক্রতার জের ও আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে ৬ এপ্রিল বুধবার বেলা ১২টার দিকে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে দু’দল এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে দোকান ভাংচুর ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে ৬০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, রাভার কারতুজ ও গ্যাস কারতুজ ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার ডোবারচর বাজারের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন লেবু ও চাঁন মিয়া মেম্বারের সাথে একই গ্রামের পন্ডিত বাড়ি এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে আঃ রাজ্জাক (৪০), আসাদ (৩৫), হাবিব (২৫) এর সাথে একটি সমিতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ এপ্রিল বাকবিতান্ডার জের ধরে বুধবার আঃ রাজ্জাক, আসাদ, হাবিব গ্রুপ ও মোবারক, বাবু গ্রুপের সহস্রাধিক এলাকাবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে শেরপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, রাভার কারতুজ ও গ্যাস কারতুজ ছুড়ে উভয় পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনার সময় পড়ে গিয়ে ৪জন পুলিশ সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হয়ে শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
এঘটনায় লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র এবং ইটের ঢিলের আঘাতে কামারেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। অন্যান্য আহতরা হচ্ছেন, জাহাঙ্গীর (২৩), আ: রেজ্জাক (২৯), আ: মোমেন (২০), রতন মিয়া (৫০), ইমান আলী (২৭), বিল্লাল (৩৮), সবিজল (৪০), শরীফ (৪৫), আনার আলী (৪০), মোতালেব (২০), সাগর (১৬), আল আমীন (২৪), নূর মোহাম্মদ (৪২), আব্দুর রহমান (২৯), সাইফুল (৪১), জায়দুল (২৭), আশিকুর (৩২), সাজেদুল (৩০) ও উত্তাল মিয়া (৫০)। এদের মধ্যে ৫ জনকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ছুটি দেয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষই শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করে নাই। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পরিচালিত অভিযানে পুলিশ সাত জনকে আটক করেছে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদ, ওসি (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেন। সময়মত পুলিশ ঘটনাস্থলে না গেলে আরো হতাহতের ঘটনা ঘটতো বলে প্রত্যক্ষ দর্শীরা দাবী করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বে থাকা ডাক্তার তাকাওয়া বিনতে বানিন দীশা জানান, ডুবারচরের ঘটনায় রোগী আসা অব্যাহত আছে। আমরা কিছু রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছুটি দিয়েছি। আবার এখন পর্যন্ত ৫ জনকে ভর্তি দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দু জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও একটা বড় ধরনের গন্ডগোলকে থামিয়ে নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এঘটনায় এখনো আমরা কোন পক্ষের নিকট থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে সাত জনকে আটক করা হয়েছে। তবে আবারো কেউ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভিন্নখাতে নিতে চাইলে আমরা কঠোর হস্তে দমন করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।