Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামে ক্লাস করতে না পারায় শ্রেণি কক্ষ ভাঙচুর

উড়ছে পতাকা, নেই শিক্ষক বন্ধ অফিস রুম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০২২, ৭:৪১ পিএম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার কামালপুর এলাকায় অবস্থিত মইনুল-মোস্তফা মহাবিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় এবং কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকবৃন্দের নিয়মিত উপস্থিত না থাকার প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করার সময় ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজের দরজা জানালা ভাংচুরের করার ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় ওই কলেজের জমি দাতা ও কিছু দুর্বৃত্ত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় এবং শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এ সময় ওই কলেজের দুই শিক্ষার্থীর শরীর যখম হয়। জানা গেছে ২০১৫ সালে ছিট মহল স্বাধীনতার পর মইনুল মোস্তফা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, বর্তমানে কলেজটির ইন নাম্বার ও কলেজ কোড নাম্বার হলেও ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির নাজমুল হাসান শামিম, জীবন সরকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানায়, বাড়ির পাশেই কলেজটি নির্মাণ হওয়ায় আমরা ও আমাদের ছেলেমেয়েদের এখানে ভর্তি করিয়েছি ভালো লেখাপড়ার জন্য। ভালো লেখাপড়া তো হয়েই না বরং সব সময় কলেজ বন্ধ থাকে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা তেমন উপস্থিত হয় না। বর্তমানে মহাবিদ্যালয় টিতে ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলে আমরা মনে করছি। এলাকাবাসীরা আরও জানান অনেক সময় এই প্রতিষ্ঠানের পতাকা খুলে রাখা হয় না দিন পেরিয়ে পরদিন আবারও ওই পতাকা পড়ে ওই প্রতিষ্ঠানে।

জমি দাতা আমজাদ হোসেন সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের কাছে জমি নিয়েছে কিন্তু কোন প্রকার কমিটিতে আমাদের নাম নেই এবং তাদেরও কমিটির কোন ঠিক-ঠিকানা নেই ইতিমধ্যে পরিচালনা কমিটি করার জন্য বোর্ড থেকে নির্দেশ দিলেও সেটি আজ পর্যন্ত কার্যকর হয়েছে কিনা জানিনা।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ ওই কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম না থাকায় স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে কলেজটি ভাংচুর করে।

এ ব্যাপারে মইনুল-মোস্তফা মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ মোস্তফা খান জানান, আমি ঢাকায় আছি ,বাকি শিক্ষকরা থাকার কথা, বাকি শিক্ষকরা একজন উপস্থিত নাই প্রতিবেদকের প্রশ্নে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

মইনুল-মোস্তফা মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি মইনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাবে এই ঘটনা হয়েছে।


উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, আমি ১৫দিন আগে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষকে সাথে নিয়মিত ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে কথা বলেছি ‌।

এব্যাপারে রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরিচালক অধ্যাপক এস এম আব্দুল মতিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ