পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবৈধ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী নিষ্ঠুর সরকার এখন বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছে। আর এই ভয়ঙ্কর ক্রুদ্ধতার বিষাক্ত ছোবল গিয়ে পড়ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর। সেজন্যই দেশে আইনের শাসনের বদলে আওয়ামী শাসনের এক বিভৎস বিকৃত রুপ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। শাসকগোষ্ঠী দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
বুধবার (০৬ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও গত নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতারের ঘটনায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এদিন মতিঝিল এলাকায় শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে প্রচারপত্র বিলি করার সময় ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) এনামুল হক মিঠু জানিয়েছেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হওয়ায় বিএনপির নেতা ইশরাক গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে প্রচারপত্র বিলির মতো কর্মসূচি থেকে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতারে আবারো প্রমাণিত হলো এই সরকার চরম জুলুমবাজ সরকার। ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসনে জনগণের তীব্র ক্ষোভের মুখে সরকার এখন নিপীড়ণের পথ বেছে নিয়েছে। দিন যতোই অতিবাহিত হচ্ছে ভোটারবিহীন সরকারের জিঘাংসার মাত্রা ততোই ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে।
তিনি বলেন, চারিদিকে দুর্ভিক্ষের ন্যায় পরিস্থিতি বিরাজ করার কারণে সরকার জনগণকে দমনের জন্য হয়রানী, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ইত্যাদিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, ইশরাক হোসেন একজন প্রতিবাদী বলিষ্ঠ তরুণ নেতা, তার সাহসী ভূমিকায় সরকার ভীত, তাই তিনি আওয়ামী প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির শিকার হলেন। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।