Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা এডভোকেট নাঈমের

এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘটনাটি মিথ্যে

ডোমার (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২২, ৫:২৮ পিএম

শিক্ষক সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি ও ভাংচুরের মামলা দিয়েছেন নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের এডভোকেট খাইরুল ইসলাম (নাঈম) যাহার মামলা নং পি-২৭/২২। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আসামীরা হলেন জয়দেব চন্দ্র মহন্ত, গোপাল চন্দ্র রায়, সাইদুল ইসলাম, কাকন চন্দ্র দাস, বিশ্বদেব দাস, জামিনি চন্দ্র রায়।

নীলফামারীর ডোমারের বোড়াগাড়ি বাজার চামারপাড়া মোড়ে রাস্তায় গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে গত ১ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকাল ৪টায় এডভোকেট খাইরুল ইসলাম (নাঈম) এর সাথে চামারপাড়া মোড়স্থ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার একপর্যায়ে আশেপাশের দোকানদার ও লোকজন তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করলে এড: নাঈম চরম উত্তেজিত হয়ে উপস্থিত লোকজনের উপর চড়াও হন।

এ বিষয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আসামী মূটুকপুর ১নং স: প্রা: বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামিনী কুমার রায় বলেন, ঘটনার সময় আমি উকিল সাহেবকে চরম উত্তেজিত দেখে থামাতে গেলে তিনি আমারো উপর চড়াও হয়ে বলেন 'তুই কে?' তার এমন আচরনে আমি হতভম্ব হয়ে যাই।

ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মিশু খেলাঘর এর প্রঃ এমদাদুল ইসলাম জানান, উকিল যে ঘটনার উল্লেখ করে মামলা দিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো ছিলো।

অটোচালক অহিদুল ইসলাম বলেন, সেদিন ভাংচুর ও চাঁদাবাজির কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী নিবাস চন্দ্র দাস জানান, ৪ নাম্বার আসামী হিসেবে যার নাম দেয়া হয়েছে সেই কাকন চন্দ্র দাস ঘটনার দিন আমার পারিবারিক অনুষ্ঠানে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার সাথেই উপস্থিত ছিলো। এ থেকেই বুঝা যায় উকিলের করা মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

ঘটনার বিষয়ে মামলার বাদী এডভোকেট খাইরুল ইসলাম (নাঈম) সাংবাদিককে বলেন, আসামীরা বিগত ৩-৪ মাস থেকে চাঁদা দাবী করে আসলেও বিষয়টি আমি কাউকে অবগত করিনি এবং এও বলেন ঘটনার সময় ৪০ থেকে ৫০ জন মানুষের সামনে চাঁদা দাবী করে, আমি তা দিতে অস্বিকৃতি জানালে বিবাদীরা আমার অফিসে প্রবেশ করতে চায়।

ঘটনার ব্যাপারে মামলার ২ নং সাক্ষী বোড়াগাড়ি চামারপাড়া মোড়ের আব্দুল্লাহ ফার্মেসীর মাজেদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না আর আমাকে মামলার সাক্ষী করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি অবগত নই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ