পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাজধানী কিয়েভ নয়, শ্রীলংকার কলম্বের মতো অর্থনৈতিক দৈন্যতাও নেই; পাকিস্তানে রাজনৈতিক মহাসঙ্কটে মতো অবস্থা নেই; এমনকি ভারতের মোদি সরকারের মতো হিন্দুত্ববাদী শাসকও রাষ্ট্র ক্ষমতায় নেই। অথচ ৯২ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাসে রাজধানী ঢাকার লাখ লাখ রোজাদার গ্যাসের অভাবে চুলা জ্বালাতে না পেরে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গেছেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরের মতো রাজধানী ঢাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাস না থাকায় চুলা না জ্বালায় হাজার হাজার পরিবারের রোজাদার ইফতার সাহরি খেতে পারছেন না। অনেক পরিবারে ইফতার-সাহরির খাবার সংগ্রহ করা ও রান্না করা দায় হয়ে গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজানের প্রথমদিন ও দ্বিতীয় দিন অনেক বাসায় রান্নার চুলা জ্বলেনি। কোনো কোনো বাসায় চুলা জ্বললেও গ্যাসের চাপ ছিল খুবই কম, যা দিয়ে রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। রমজান মাসে হঠাৎ করেই রান্নাবান্নার সমস্যা হওয়ায় অনেক বাসা-বাড়ির গৃহিণীরা গত দু’দিন ইফতারি তৈরি করতে পারেননি। সারাদিন রোজা রেখে এটা সেটা খেয়ে ইফতারি করেছেন। সাহরিতে চিড়া-মুড়ি খেয়ে রোজা রেখেছেন।
জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ীতে বসবাস করেন এমন এক গৃহিণী বললেন, ইফতারি বা সাহরি রান্নার সবকিছুই আছে। সবকিছু প্রস্তুত করেছি। কিন্তু গ্যাস না থাকায় চুলা জ্বলেনি; রান্না হয়নি। হোটেল থেকে ইফতারি কিনে ইফতারি করেছি। কিন্তু আমাদের বিল্ডিংয়ের অন্যান্য ফ্ল্যাটে যারা থাকেন, তাদের পক্ষ্যে ইফতারি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। তারা মুড়ি-চিড়া দিয়েই ইফতারি করছেন।
গ্যাসের চুলায় স্বাভাবিক সরবরাহ না থাকায় রাজধানী ঢাকায় বসবাসরত লাখ লাখ রোজাদার ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর কিয়েভের মুসলিম রোজাদারদের মতোই অবর্ণনীয় দুর্দশায় মধ্যে রোজা রাখছেন; অথচ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ফেইসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েই দায় সেরেছেন। গতকাল প্রতিমন্ত্রী পোস্টে লিখেছেন, ‘বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশকিছু এলাকার গ্রাহকবৃন্দ গ্যাস সঙ্কটে পড়েছেন। অনাকাক্সিক্ষত এ ভোগান্তির জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অ্যানার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের কন্ট্রিবিউটিং এডিটর ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আবদুস সালেক বলেন, গত দুইদিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সঙ্কট হচ্ছেÑ তিতাসের অবস্থাপনার কারণে। তেল আর গ্যাসের বাজার এক নয়। ওপেক তেল মার্কেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। পবিত্র রমজান মাস হঠাৎ আসেনি। রোজার আগে রাজধানীতে গ্যাস-বিদ্যুৎ, পানি সুব্যবস্থাপনা করা উচিত ছিল। কিন্তু আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়নি কেন, সেটা রহস্য। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অ্যানার্জি বিশেষজ্ঞ বলেন, রাজধানী ঢাকায় দেড় থেকে পৌঁনে দুই কোটি মানুষ রোজা রাখেন। এ রোজাদাররা যাতে ইফতার-সাহরি ঠিকমতো খেতে পারেন. সে জন্য পানি-গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা এবং রোজার নিত্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্তুতি নেয়ার কথা। অথচ প্রথম রোজার দিনই বিবিয়ানায় গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হলো?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানায় ৬টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন গত রোববার (প্রথম রোজা) হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশজুড়ে গ্যাসের সঙ্কট দেখা দেয়। রাজধানী ঢাকায় চুলা না জ্বলায় ইফতারি ও সাহরির জন্য রোজাদারের মধ্যে হাহাকার পড়ে যায়। গতকাল সোমবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিকেলের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। রমজানের দ্বিতীয় পেট্রোবাংলার এক ‘জরুরি’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য হ্রাসকৃত হারে গ্যাস সরবরাহের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস স্বল্পতার সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞপ্তিতে আগের দিনের মতোই ‘সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ’ করে বলা হয়, ‘রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ সম্পন্ন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’ শেভরন বাংলাদেশের আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘তারা বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রটি পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। গ্যাসক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত দুটো প্রসেস ট্রেনের মধ্যে একটি ইতোমধ্যেই ঠিক করা হয়েছে। বন্ধ থাকা কূপগুলোর একটি থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে’। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্যাস উৎপাদনে কিছু অসঙ্গতির কারণে গত ৩ এপ্রিল দুটো ‘প্রক্রিয়াজাত ট্রেন’ ও ৬টি কূপ থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু পেট্রোবাংলার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিবিয়ানার কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনে কূপ মেরামত করতে কিছুটা সময় লাগবে; ফলে গ্যাসের কিছুটা ঘাটতি থেকে যাবে। আগামী ৮ এপ্রিল একটি এলএনজির কার্গো পৌঁছাবে। এরপর ১০ এপ্রিল নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. আল মামুন বলেন, বিবিয়ানা থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গত রাতেই (পহেলা রমজান) ৬০-৬৫ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দিনের মধ্যে ১৬০-১৬৫ এমএমসিএফডি পাওয়া যাবে। বাকিটা যত দ্রুত পারা যায়, পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারি-সাহরি নিয়ে রোজাদাররা চরম বিপাকে পড়ে গেছেন। খাওয়ার জন্য রান্নার সবকিছু ঘরে থাকলেও আগুনের অভাবে রান্না করতে পারছেন না। বাধ্য হয়েই কেউ কেউ হোটেলে খেয়ে রোজা রাখছেন। যাদের সে আর্থিক সক্ষমতা নেই, তারা এটাসেটা খেয়ে রোজা রাখছেন। আগে রাজধানীর চকবাজার, বেইলি রোড, নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি, বানানী, উত্তরা, গুলশানসহ কয়েকটি এলাকায় রোজাদারদের লাইনে দাঁড়িয়ে ইফতার সামগ্রী কিনতে দেখা যেত। গত দু’দিন দেখা গেছে নিম্নমধ্যবিত্তের বসবাস শনির আখড়া থেকে শুরু করে টাকাওয়ালাদের চকবাজার, উচ্চবিত্তের বেইলি রোড থেকে শুরু করে ধানমন্ডি-উত্তরা-গুলশান-বনানীসহ রাজধানীর প্রতিটি পাড়া মহল্লার হোটেল-রেস্টুরেন্ট এবং ফুটপাথে ইফতার কেনার লাইন। শত শত মানুষ সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা মানুষের ভিড় বুঝতে পেরে ইফতারের প্রতিটি আইটেমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়েই রোজাদাররা সেসব খাবার কিনছেন। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের রোজাদাররা বেশি দাম হওয়ায় প্রয়োজনের তুলনায় কেউ অর্ধেক কেউ আরো কম খাবার কিনছেন। শনির আখড়ার সূর্যবানু হোটেলে ইফতার কিনতে লাইনে দাঁড়ানো একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, প্রথম রোজার দিন মসুর ডাল বেটে বেগুন কেটে পিয়াজি, বেগুনি বানানোর জন্য রাখা হয়েছিল। গ্যাস আসবে এ প্রত্যাশায় থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু মুড়ি আর ফল দিয়ে ইফতার করেছি। গত রাতে কিছু সময়ের জন্য গ্যাস এলেও আজও সারাদিন চুলা জ্বলেনি। ছেলেমেয়েরা সারাদিন রোজা রেখে শুধু মুড়ি-চিড়া দিয়ে ইফতার করবে বাবা হিসেবে মেনে নিতে পারছি না। সে কারণে ৫০০ টাকা নিয়ে ইফতার কিনতে এসেছি। মানুষের দুর্বলতা বুঝতে পেরে খাবার হোটেল ব্যবসায়ীরা প্রতিটি আইটেমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ইফতার কিনে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা বারের একজন সদস্য প্রখ্যাত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বললেন, ৮০০ টাকার যে ইফতার কিনলাম তা ৩ জন রোজাদারের হবে না। এই পিয়াজি-বেগুনি-চপ মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে ৬ জনকে ইফতার করতে হবে। ঢাকার কদমতলীর মোছা. আলপনা নামের এক গৃহিণী ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, প্রথম রোজার দিন দুপুরের পর ইফতার বানানোর জন্য সবকিছু নিয়ে বসেছিলাম। গ্যাস আসেনি। বাইরে থেকে সামান্য কিছু কিনে ইফতার করেছি। রাতে রাইচ কুকারে খিচুরি রান্না করে সাহরি খেয়েছি। ইফতার ও সাহরির জন্য হাজার হাজার টাকা খবর করে মাছ-গোশত কিনেও ইফতার ও সাহরি করতে পারছি না। শনির আখড়া থেকে ‘ঢাকা মহানগর সার্ভিস’ বাসে মতিঝিল আসার সময় যাত্রীদের প্রায় সকলের মুখে একই কথা শোনা গেল ‘সারাদিন রোজা রেখে ইফতার-সাহরি করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে’। রোবিনা নামের এক যাত্রী বললেন, যে মুটে-মজুরের কাজ করে সেও রোজায় পরিবারের সদস্যদের ইফতার ও সাহরির জন্য টাকা খবর করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু চুলায় গ্যাস না থাকায় তারা ইফতার ও সাহরি খেতে পারছেন না। যারা সীমিত আয়ের মানুষ তাদের পক্ষ্যে বাজার থেকে ইফতারি কিনে খাওয়া কঠিন।
গ্যাসের অভাবে রঁসুইঘরে চুলা জ্বালাতে না পেরে রাজধানী ঢাকার হাজার হাজার পরিবারের লাখ লাখ রোজাদার স্বাভাবিক ইফতারি-সাহরি না খেয়েই রোজা রাখছেন। গতকাল রাজধানীর শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী, ওয়ারি, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, নারিন্দা, বাংলাবাজার, জুরাইন, ডেমরা, কমলাপুর, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর, কাফরুল, আদাবর, বনশ্রী, রামপুরা, আজিমপুর, লালবাগ, ধামমন্ডি, সিদ্ধেশ্বরী, কাঁঠাল বাগান, মিরপুর, ক্রিসেন্ট রোড, জিগাতলা, শ্যামলী, কল্যাণপুর, এলিফ্যান্ট রোড, গ্রিন রোড, মিরপুর ১, ২ ও ১০ নম্বর এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রথম ও দ্বিতীয় রোজার দিন-রাত গ্যাসের সঙ্কট চলছে। কোনো কোনো বাসায় চুলা জ্বললেও গ্যাসের স্বল্প চাপে ইফতার বানানো এবং সাহরির রান্না সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লাখো রোজাদার পরিবার। রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার হোটেল, ফুটপাথের ইফতারের দোখানো দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। বাসায় রান্না না হওয়ায় রোজাদারেরা বাইরে থেকে ইফতার কিনছেন। কিন্তু দোকানীরা বাসা-বাড়িতে গ্যাস নেই বুঝতে পেরে প্রতিটি ইফতার আইটেমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
রমজানে রাজধানীতে এমন গ্যাস সঙ্কটের বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ধানমন্ডির কলাবাগারে বাসিন্দা খাদিজাতুর তৌহুরা নামের এক গৃহিণী বলেন, মাস গেলেই নিয়মিত গ্যাসের বিল দিতে হয়। কিন্তু প্রায় গ্যাসের চাপ থাকে না। এরই মধ্যে প্রথম রমজানে বাসায় ইফতারি বানাতে পারিনি। সব বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। রমজান মাসে গ্যাসের সঙ্কটে যে আমাদের কত বড় সমস্যা হয় একথা বোঝানো যাবে না। এখনো চুলায় গ্যাসের কোনো চাপই নেই। পুরান ঢাকার ওয়ারির বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, দেশে কি যুদ্ধবিগ্রহ চলছে? ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে রমজান মাসে রাজধানীতে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির স্বাভাবিক সরবরাহ থাকবে না? আমার বাসায় সকালের দিকে গ্যাস চলে যায়, পরে ইফতারের কিছু আগে গ্যাস আসলেও চাপ ছিল খুব কম। যা দিয়ে কোনো কিছু রান্না করা সম্ভব হয়নি। রমজানের দ্বিতীয় দিনেও বাইরে থেকে কিনে এনে ইফতারি করতে হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।